শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৯, ০৮:২২:৫৪

ক্ষো'ভে ফুঁ'সছে ভারত, পুলিশের গু'লিতে নিহ'ত ২০

ক্ষো'ভে ফুঁ'সছে ভারত, পুলিশের গু'লিতে নিহ'ত ২০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের ব'র্ণবা'দী ও ইসলামবি'দ্বে'ষী নাগরিকত্ব আইনের বি'রু'দ্ধে বি'ক্ষো'ভে এ পর্যন্ত ২০ জন নিহ'ত হয়েছেন। আইনটি বা'তি'লের দাবিতে নতুন করে হাজার হাজার লোক রাস্তায় নেমে এসেছেন।

ফরাসি বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে এমন তথ্য জানা গেছে। দেশটির সবচেয়ে জনবহুল শহর উত্তর প্রদেশে শুক্রবার বিক্ষো'ভ স'হিং'সতায় রূপ নিলে হ'তহ'তের সংখ্যা হঠাৎ করেই বেড়ে যায়। রাজ্যটিতে অন্তত ১১ জন নি'হ'ত হয়েছেন। 

যাদের মধ্যে প'দপি'ষ্ট হয়ে আট বছর বয়সী একটি শিশুও মা'রা গেছে। শনিবার তামিলনাড়ুর রাজধানী চেন্নাই ও বিহারের উত্তরাঞ্চলীয় শহর পাটনাসহ বিভিন্ন শহরে হাজার হাজার লোক নতুন করে বি'ক্ষো'ভে যোগ দিয়েছেন।

রাজধানী নয়াদিল্লিতেও সড়কে ব্যা'প'ক জমায়েত দেখা গেছে। ধর্মভিত্তিক এই আইনটি নিয়ে মানুষের মধ্যে হ'তা'শা বাড়ছে। গত ১১ ডিসেম্বর পার্লামেন্টে আইনটি পাশ করে হিন্দুত্ববাদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার।

এতে প্রতিবেশী বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে অমুসলিম অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দেয়ার কথা বলা হয়েছে। আইনটি থেকে মুসলমান সম্প্রদায়কে বাদ দেয়া হয়েছে।

স'মালো'চকরা বলছেন, আইনটি মুসলমানদের বি'রু'দ্ধে বৈ'ষ'ম্যেপূর্ণ ও নরেন্দ্র মোদির হিন্দুত্ববাদী এজেন্ডার অংশ। যদিও ক্ষমতাসীন দল বিজেপি তা অ'স্বী'কার করে আসছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে ২০ কোটি মুসলমানের মধ্যে ২০ শতাংশের বসবাস উত্তর প্রদেশে। 

রাজ্য পুলিশের মুখপাত্র শিরীষ চন্দ্র বলেন, গু'লিবি'দ্ধ হয়ে ১০ জন নি'হ'ত হন। অন্যান্য ঘটনাবলীও আমরা তদন্ত করে দেখছি।

বারাণসী জেলা পুলিশ প্রধান প্রভাকর চৌধুরী বলেন, পবিত্র শহরটিতে শিশুসহ আড়াই হাজার লোক বি'ক্ষো'ভে যোগ দিয়েছেন। এসময় ওই বালকটি নি'হ'ত হয়েছে।

তিনি বলেন, পুলিশ যখন বি'ক্ষো'ভ দ'ম'নের চেষ্টা করেন, লোকজন পালানোর জন্য দৌড়াচ্ছিলেন। এতে পদদলিত হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ওই সময় বালকটি নি'হ'ত হয়েছেন।

তার মতে, বিক্ষো'ভকারীদের বি'রু'দ্ধে সর্বোচ্চ সংযম অবলম্বন করছে পুলিশ। বিক্ষো'ভকারীরা তাদের ওপর পাথর নিক্ষেপ করেছেন। টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, বন্ধুদের সঙ্গে ওই শিশুটি একটি গলির ভেতর খেলছিল, এসময় বি'ক্ষো'ভকারীদের পায়ে দলিত হয়ে সে মা'রা যায়।

উত্তর প্রদেশেও বি'ক্ষো'ভে একজন ও দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য কর্নাটকেও দুইজনের মৃ'ত্যু হয়েছে। এছাড়া উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামেও গত সপ্তাহের বি'ক্ষো'ভে ছয়জন নি'হ'ত হয়েছেন। শনিবার মধ্যদিল্লির যন্তরমন্তরে বেড়িকেড স্থাপন করেছে পুলিশ। সাম্প্রতিক এই রাজপথটি বি'ক্ষো'ভের কিন্দ্রবিন্দুতে প'রিণ'ত হয়েছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কর্তৃপক্ষকে বেশ বে'গ পেতে হচ্ছে। জরুরি অবস্থা আরোপ করে ইন্টারনেট বি'চ্ছি'ন্ন করে দেয়া হয়েছে। দেশজুড়ে বিভিন্ন স্প'র্শ'কা'তর জায়গাগুলেতে দোকানপাট ও রেস্তোরাঁ ব'ন্ধ রাখা হয়েছে।

বি'ক্ষো'ভে এ'লো'পা'তা'ড়ি গু'লি ও কাঁদানে গ্যাস নি'ক্ষে'প করেছে পুলিশ। লা'ঠিপে'টা ছাড়াও শত শত লোককে আ'ট'ক করা হয়েছে। আইনটি বা'তিলের আগ পর্যন্ত ল'ড়া'ই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বি'ক্ষো'ভকারীরা। 

রাজধানীর মূলকেন্দ্রে সড়কে বি'ক্ষো'ভ ছড়িয়ে পড়েছে। প্র'তিবা'দকা'রীদের ছ'ত্রভ'ঙ্গ করে দিতে জলকামান ব্যবহার ও লা'ঠিচা'র্জ করেছে পুলিশ। পুলিশ লোকজনকে লা'ঠিপে'টা করছে বলে দেখেছে ঘটনাস্থলে উপস্থিত এএফপির প্রতিবেদক। 

এছাড়া শিশুসহ বি'ক্ষো'ভকারীদের ধ'রপা'কড় চালানো হচ্ছে। পুলিশ শনিবার এএফপিকে বলছে, ৪০ বি'ক্ষো'ভকারীকে আ'ট'ক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অন্তত আটজনের বয়স ১৮ বছর বয়সের নিচে। তবে তাদের অধিকাংশকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে