বিনোদন ডেস্ক: এবার খুব শীঘ্রই শেষ হতে চলেছে দাদাগিরি আনলিমিটেড সিজন ৯। তার আগে দাদাগিরির সেটে একের পর এক ধামাকা। এবার সঞ্চালকের আসন ছেড়ে চলে গেলেন সৌরভ! তবে ঘটেছে মজার ঘটনা! কী সেই ঘটনা?
রাজকীয় স্টাইলে গটগট করে হেঁটে প্রতিযোগীর জায়গায় গিয়ে দাঁড়ালেন দাদা। কী ঘটেছিল দাদাগিরির সেটে? না, কারোর ওপর রাগ বা শো-এ গণ্ডগোলের কারণে সঞ্চালকের আসন ছাড়েননি। বরং স্বইচ্ছায় প্রতিযোগীর স্থান নিয়েছিলেন মহারাজ।
আসলে সম্প্রতি দাদাগিরির সেটে উপস্থিত ছিলেন বাংলার তিনজন বিশিষ্ট সঞ্চালক। শাশ্বতী গুহ ঠাকুরতা, চৈতালি দাশগুপ্ত ও মধুমন্তী। দূরদর্শনের বিভিন্ন শো-এর পরিচিত মুখ এই তিন সঞ্চালিকা। আর তাঁদেরকে এই শো-এ পেয়ে দাদাগিরির সঞ্চালার দায়িত্ব তুলে দিলেন শাশ্বতী গুহ ঠাকুরতার হাতে।
তাঁর সঞ্চালনাতেই শুরু হল দাদাগিরি আনলিমিটেড সিজন ৯-এর পাওয়ার প্লে রাউন্ড। উত্তর চব্বিশ পরগনার হয়ে খেললেন সৌরভ। দাদার জায়গায় দাঁড়িয়ে স্পিনিং রাউন্ডের জন্য তৈরি হতে বললেন শাশ্বতী। খেলার জন্য ফুল মুডে তৈরি মহারাজও।
স্পিনের পর দাদার হঠাৎ মনে হল সঞ্চালকের আসনটাই হয়তো তাঁর জন্য ভালো ছিল। সে যাই হোক, প্রতিযোগীর জায়গা ছেড়ে তো তখন আর বেড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই! অগত্যা প্রশ্নের সন্মুখীন হলেন দুঁদে ক্রিকেটার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
সৌরভ যখন প্রতিযোগীর আসনে তখন ক্রিকেট সম্পর্কিত প্রশ্নই করা হবে সে কথা বলার অপেক্ষাই রাখে না। সঞ্চালিকা শাশ্বতী গুহ ঠাকুরতা সৌরভকে প্রশ্ন করলেন, 'সম্প্রতি ফিফার বর্ষসেরা পুরুষ ফুটবলার নির্বাচিত হলেন কে?'প্রশ্নটা কী একটু বেশিই কঠিন হয়ে গিয়েছিল সৌরভের জন্য...তিনিও অপশন চেয়ে বসলেন। সঞ্চালনার আসন থেকে শাশ্বতীও তিনটি অপশন দিলেন মহারাজকে।
অপশন দেওয়ার পর প্রতিযোগী আর সঞ্চালিকার মধ্যে চলল মজাদার কথপোকথন। প্রতিযোগীর আসনে দাঁড়িয়ে শাশ্বতীকে উলটে প্রশ্ন করে ফেললেন দাদা। ছেড়ে দেওয়ার পাত্রী নন শাশ্বতীও। তিনি পালটা বললেন, 'আমি তো এখানে প্রশ্ন করতে এসেছি'। এইভাবে কিছুক্ষণ হাসি-মজা করার পর শেষ পর্যন্ত সঠিক উত্তরটাই দিলেন ক্রিকেট তারকা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
দাদাগিরির মঞ্চে শাশ্বতী গুহ ঠাকুরতাকে দেখে ছোটবেলার স্মৃতিচারণাও করলেন সৌরভ। ১৯৭৫ সালে যখন তিনি দবরদর্শনে সঞ্চালনা করতেন তখন মাত্র দু'বছর বয়স ছিল সৌরভের।
এরপর আবার শুরু হল প্রশ্নোত্তর পর্ব। শেষ পর্যন্ত দাদাগিরির মঞ্চ থেকে একটা দারুণ কমপ্লিমেন্ট পেলেন শাশ্বতী। শাড়ির পাট ভাঙলে নাকি আরও সুন্দর লাগবে তাঁকে।
যদিও এটাও ছিল কেলারই একটা অংশ। সৌরভ তাঁর উদ্দেশ্যে একটা গুগলি ছঁড়ে বলেছিলেন কী ভাঙলে তাঁকে আরও সুন্দর লাগবে। সেই প্রশ্নেরই উত্তর ছিল, শাড়ির পাট ভাঙলে। শাড়ির পাট ভাঙলে হয়তো শাশ্বতীকে আরও সুন্দর লাগবে। কিন্তু দাদাগিরি শেষ হয়ে গেলে দর্শকের মন ভাঙবে!