বিনোদন ডেস্ক : বাস্তবতার উপর নির্মিত ‘এয়ালিফট’ চলচ্চিত্রটি সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে। এতে অভিনয় করেছেন বলিউডের খিলাড়িখ্যাত অভিনেতা অক্ষয় কুমার।
নব্বই দশকে কুয়েতের উপর ইরাক আক্রমনের ফলে সেখানে আটকে যাওয়া ভারতীয়দের উদ্ধারে এগিয়ে এসেছিলেন ভারতপ্রবাসী এক ধনাঢ্য ব্যবসায়ি। সাদ্দাম হোসেনের সাথে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে রঞ্জিত কটিয়াল নামের এই দুঃসাহসী ব্যবসায়ি ভারতীয় বিমানে করে পাঠিয়েছিলেন হাজার হাজার ভারতীয়দের।
ছবিতে তুলে আনা হয়েছে এমনই এক বাস্তব ঘটনা। যার ফলে ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর ভারতেজুড়ে বেশ আলোচনা তৈরি করেছে। বক্স অফিসে একশো কোটি রুপি আয় করা ছাড়াও দারুণ প্রশংসায় ভাসছে এ ছবিটি।
সম্প্রতি ফিল্মফেয়ারে এক সাক্ষাৎকারে অক্ষয় জানিয়েছিলেন এ ছবিতে তার অভিনয়ের অভিজ্ঞতা।
অক্ষয়ের কাছে ‘এয়ারলিফট’ ছবির প্রস্তাব আসাতেই তিনি কোন রকম সাত-পাঁচ না ভেবেই রাজি হয়ে গিয়েছিলেন। তিনি নাকি ছবিটির স্ক্রিপ্ট দেখেই ছবিটি করবেন বলে রাজি হয়ে যান! কিন্তু কেন?
অক্ষয় জানালেন, ‘এয়ারলিফট’ ছবির স্ক্রিপ্ট দেখেই কিছু না ভেবেই ‘হ্যাঁ’ বলে দিলাম। কারণ ছবিটি সত্য কাহিনীকে অবলম্বন করে।
তার মতে, ভারতের ইতিহাসে একটা অসাধারণ ইতিহাসকে কেন্দ্র করে যে ছবির কাহিনী, যা রাজনৈতিক আবরণে এতোদিন ঢাকা ছিল। ভাবলাম, এই ছবির মাধ্যমে একটা সত্য ইতিহাসকেও সকলের সামনে নিয়ে আসা যাবে। তাছাড়া দেখলাম, এটা একটা মানবিক গল্প।
‘এয়ারলিফট’ ছবিতে অক্ষয়ের চরিত্রটি কুয়েত প্রবাসী রঞ্জিত কটিয়াল নামের এক ব্যবসায়িকে কেন্দ্র করে। এই ব্যবসায়ী সম্পর্কে অক্ষয় কুমার তেমন কিছুই ভালো করে জানেন না। এমনকি তিনি তাকে কখনই দেখেন নি। তবে সে একজন বড় ব্যবসায়ী, শুধু এটুকুই জানেন অক্ষয়।
ব্যবসায়ী সম্পর্কে বলতে গিয়ে অক্ষয় বলেন, রঞ্জিত কটিয়ালের সাথে আমি কখনো সাক্ষাৎ করেনি। রাজা মেনন তারসাথে দেখা করেছে। এমন কি তার সাথে কথাবার্তা বলেই সেসময়টাকে তিনি সিনেমার গল্পে দেখিয়েছেন।
অক্ষয় আরও বলেন, ছবিটি দেখলে বুঝবেন, এয়ারলিফটের সেই অপারেশনের জন্য শুধু একা রঞ্জিত কটিয়ালের একার দ্বারাই সম্ভব হয়নি। আরো বেশ কয়েকজন তাকে সহযোগিতা করেছিলেন বলেই তা স্বার্থক হয়েছিল। তবে এই অপারেশনের জন্য রঞ্জিতই ছিলেন প্রধান ব্যক্তি।
এয়ারলিফটের গল্প অনুসারে আরবি ভাষার অনেক প্রয়োগ হয়েছে ছবিতে। অক্ষয়কেও আরবিতে কথা বলতে হয়েছে। তবে তার কাছে বারবারই মনে হয়েছে আরবি ভাষাটা অসম্ভব রকমের কষ্ট।
অক্ষয় বলেন, সত্যিই আরবি খুব কঠিন একটি ভাষা। এই ভাষা রপ্ত করা আমার জন্য মোটেও সহজ কাজ ছিল না। ছবিতে যেটুকু বলতে হয়েছে তা আমি খুব কষ্ট করে মনে রেখে বলেছি। কিন্তু এখন যদি আপনি আমাকে সেই ডাইলগ বলতে বলেন, তাহলে আমি পারবো না। ভুলে গেছি!
অক্ষয়ের মতে ‘এয়ারলিফট ছবিটি সকলের দেখা উচিৎ। এমনকি শিশুদেরকেও এ ছবিটি দেখানো উচিৎ। সেই সাথে তিনি মেন করেন দেশটির পাঠ্য বইয়েও এ ইতিহাস তুলে ধরা দরকার।
৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন