চাঁদপুর : হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তারে ক্ষুব্ধ হয়ে তার সমর্থকরা চাঁদপুরের কচুয়ার ৬নং উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কার্যালয়ে হামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রোববার রাতে প্রায় দেড় শতাধিক হেফাজত সমর্থক নেতাকর্মী তেতৈয়া গ্রামে অবস্থিত ইউপি ভবনে এ হামলা ও ভাঙচুর করে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার তিনজনকে সোমবার কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- দারচর গ্রামের ইউনুছ মিয়ার ছেলে মাকসুদ (৩৫), খিড্ডা গ্রামের মফিজুল ইসলামের ছেলে আরিফ (৩২), উজানী গ্রামের মনু মিয়ার ছেলে আতিক (২৭)।
প্রত্যক্ষদর্শী গ্রামপুলিশ নারায়ণ চন্দ্র বলেন, ‘আমি ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের ভেতরে অবস্থান করছিলাম। হঠাৎ হেফাজত সমর্থিত নেতাকর্মীরা ইউপি ভবনের সামনে ও চারপাশে ভাঙচুর চালায়।’
ইউপি সচিব মো. মফিজুর রহমান বলেন, ‘রোববার রাতে প্রায় দেড় থেকে দুই শ’ হেফাজত সমর্থিত নেতাকর্মী উজানী, দারচর ও খিড্ডা এলাকা থেকে জড়ো হয়ে সরকারি ইউপি ভবনে রাষ্ট্রীয় মালামাল, দরজা-জানালা ও ভবন ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় সোমবার ১২ জনের নাম উল্লেখ ও ৪০-৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে কচুয়া থানায় মামলা (১৬) দায়ের করা হয়েছে।’
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম. আখতার হোসাইন আওয়ামী দলীয় ফেস্টুন ও ইউপি ভবন ভাঙচুরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। পাশাপাশি অপর আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।
কচুয়া থানার ওসি বলেন, ‘হেফাজত নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে যাওয়ার সময় ইউপি কার্যালয়ে হামলা চালায়। আমরা ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। তাৎক্ষণিক তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
এ ঘটনায় সোমবার (১৯ এপ্রিল) বিকালে তেতৈয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে হেফাজত কর্মী-সমর্থকদের তাণ্ডবের প্রতিবাদে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ সমাবেশ করে। তারা ঘটনা জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।