ফরিদপুর থেকে : ফরিদপুরে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে আটজন নিহ'ত হয়েছেন। ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে ফরিদপুর সদর উপজেলার মাচ্চর ইউনিয়নে সেতুর রেলিং ভেঙে বাসটি খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ৬ জন মারা যান ও ২০ জন আহ'ত হন।
হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও দুজন মারা যান। আজ শনিবার দুপুর দুইটার দিকে এ দু'র্ঘ'টনা ঘটে। বেলা সাড়ে চারটায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহ'ত ব্যক্তিদের দুজনের নাম-পরিচয় জানা গেছে। তাদের নাম হাবিব ও ফারুক।
এ সময় বাসের ধাক্কায় একটি মোটরসাইকেলও খাদে পড়ে যায়। নিহ'ত ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ ও তিনজন নারী। আহ'ত ব্যক্তিদের দ্রুত উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কমফোর্ট লাইন পরিবহনের বাসটি ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জের পাটগাছির দিকে যাচ্ছিল। পথে ধুলদি সেতুর ডান পাশের রেলিং ভেঙে বাসটি উল্টে খাদে পড়ে যায়। খবর পেয়ে ফরিদপুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল এবং করিমপুর হাইওয়ে পুলিশ ও ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা-পুলিশ উদ্ধারকাজে অংশ নেয়।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার সাখাওয়াত মোস্তফা বলেন, একজনকে হাসপাতালে আনার সঙ্গে সঙ্গেই মৃ'ত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। আরেকজন ওয়ার্ডে নেওয়ার পর মারা যান।
দু'র্ঘ'টনা কবলিত বাসের যাত্রী গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ভাটিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা রাকিব হোসেন (২৯) বলেন, গোয়ালন্দ ঘাট পার হওয়ার পর থেকে চালক বেপরোয়া গতিতে বাস চালাচ্ছিলেন। যাত্রীরা বারবার বলা সত্ত্বেও বাসের গতি কমাননি তিনি। চালক ও সুপারভাইজার ছাড়া বাসে মোট ২৫ জন যাত্রী ছিলেন বলেও জানান তিনি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএসএম নাসিম বলেন, ঘটনাস্থলেই ছয়জন নিহ'ত হয়েছেন। আহ'ত ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গু'রু'তর। ধারণা করা হচ্ছে, খাদে পড়া মোটরসাইকেলের আরোহীও নিহত হয়েছেন।
দু'র্ঘ'টনার পরপরই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস এসে উদ্ধারকাজ চালানোর পর সীমিত পর্যায়ে যান চলাচল শুরু হয়েছে।