গাজীপুর : ঢাকায় সৌদি দূতাবাসের কর্মকর্তা খালাফ আল আলী হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সাইফুল ইসলামের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।
রোববার (৩ মার্চ) রাতে গাজীপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে রায় কার্যকর করা হয়।
জেলার বিকাশ রায়হান জানান, উচ্চ আদালতের রায় কারাগারে আসলে বিধি মোতাবেক সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে রাত ১০টা ১ মিনিটে সাইফুল ইসলামের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। প্রধান আসামি সাইফুলের বাড়ি বাগেরহাটের শরণখোলার মধ্য খোন্তাকাটা গ্রামে। তার বাবার নাম মৃত আব্দুল মোতালেব হাওলাদার। তিনি ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে এ কারাগারে বন্দী ছিলেন।
কাশিমপুর কারাগার সূত্র জানায়, লাল কাপড়ে মোড়ানো ফাঁসির পরোয়ানা রোববার কারাগারে পৌঁছায়। পরে কারা কর্তৃপক্ষ ঊধ্র্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের পর ফাঁসির মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু করেন। ফাঁসি কার্যকরের জন্য জল্লাদ রাজুসহ কয়েজেনকে প্রস্তুত রাখা হয়। ফাঁসি কার্যকরের আগে রাত সোয়া ৯টার দিকে সিভিল সার্জন ডা. সৈয়দ মঞ্জুরুল হক, গাজীপুর জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মশিউর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) মো. আবু নাসার উদ্দিন, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মোহাম্মদ শরিফুর রহমান কারাগারে উপস্থিত হন। পরে তাদের উপস্থিতিতে রাত ১০টা ১ মিনিটে জল্লাদ রাজুর হাতেই সাইফুলের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
ফাঁসি কার্যকরের পর কারা ফটকে ব্রিফ করেন হাইসিকিউটির কারাগারের জেল সুপার মো. শাহজাহান আহমেদ। তিনি জানান রাত ১০ টা ১ মিনিটে সাইফুল ইসলামের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
সাইফুলের মরদেহ নেয়ার জন্য বাগেরহাট থেকে ১৫ জন স্বজন দুপুরে কারাগারে আসেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাইফুল ইসলামের মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটের উদ্দেশ্যে তারা রওয়ানা হয়। সাইফুলের মা আলেয়া বেগম কারা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লাশ গ্রহণ করেন। এ সময় তার মামাতো ভাই তামিম ও মামা সোহাগ উপস্থিত ছিলেন।