টিআইবিকে সুরঞ্জিতের ৩ দিনের আলটিমেটাম
নিউজ ডেস্ক : টিআইবি সংসদকে কটাক্ষ করে রাষ্ট্রদ্রোহী অপরাধ করেছে। আগামী ৩ দিনের মধ্যে টিআইবিকে ক্ষমা চেয়ে বলতে হবে আগামীতে সংবিধান লঙ্ঘন করবে না, অন্যথায় টিআইবি অস্তিত্বহীন হয়ে যাবে।
সোমবার উত্তপ্ত সংসদে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এসব কথা বলেন।
জাতীয় সংসদকে নিয়ে ট্রান্সপ্যারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) সাম্প্রতিক রিপোর্ট নিয়ে শীতকালীন অধিবেশনের দ্বিতীয়দিনে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল সংসদ। সেখানে দেয়া বক্তব্যে সুরঞ্জিত বলেন, সংবিধান কোনো কাগজ নয়, সংসদ না থাকলে জনগণ রিপাবলিক থাকে না। সার্বভৌম সংসদকে পুতুল নাচের নাট্যশালা বলে টিআইবি সংবিধান লঙ্ঘনের পাশাপাশি চরম ধৃষ্টতা দেখিয়েছে।
তিনি বলেন, টিআইবি অবশ্যই দায়বদ্ধ সংস্থা। আইন, সংবিধান ও সংসদের অধীন। এর এক চুলও বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। আইন, সংবিধান, সংসদ ও সরকারের উর্ধ্বে নয় টিআইবি। সংসদ ও রাষ্ট্র কী এতোই অসহায় যে, টিআইবির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে না।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এক রিপোর্টে জাতীয় সংসদকে ‘পুতুল নাচের নাট্যশালা’ বলে উল্লেখ করে টিআইবি। এরপর থেকেই সরকারি ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা টিআইবিকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছে।
টিআইবির জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন এমপিরা। একইসঙ্গে টিআইবিকে সংসদের বিশেষ অধিকার ক্ষুন্ন সম্পর্কিত প্রিভিলেজ কমিটিতে তলব করারও দাবি জানান। টিআইবির কঠোর সমালোচনা করেন সরকারি ও বিরোধী দলের এমপিরা। তাদের সঙ্গে যোগ দেন স্বতন্ত্র এমপিরাও।
এমপিরা বলেন, টিআইবি বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের ভূমিকায় অবতীর্ণ। অবিলম্বে বিএনপির অঙ্গ সংগঠন টিআইবি যদি ওই রিপোর্টের জন্য জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা না চায়, তবে জাতীয় সংসদে নতুন আইনের মাধ্যমে সংস্থাটিকে সাসপেন্ড এবং এনজিও’র তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। এ ক্ষমতা সার্বভৌম জাতীয় সংসদের রয়েছে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে মাগরিবের নামাজের বিরতির পর এই অনির্ধারিত বিতর্কের সূত্রপাত করেন বিরোধী দলের নেতা বেগম রওশন এরশাদ। তাকে সমর্থন করে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ, জাসদের মইন উদ্দীন খান বাদল, স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজি ও জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশিদ।
রওশন এরশাদ বলেন, সংস্থাটি সার্বভৌম জাতীয় সংসদকে পুতুলের নাট্যশালা বলে মন্তব্য করেছে। বিরোধী দলকে কথিত বিরোধী দল হিসেবে উল্লেখ করেছে। আগে বিরোধী দলরা সংসদে ফাইল ছোঁড়াছুঁড়ি, গালিগালাজ, অকথ্য ভাষায় কথা বলতো, সংসদে আসতো না। আমরাই প্রথম সংসদে থেকে জনগণের সমস্যার কথা বলছি, সরকারের ব্যর্থতার কঠোর সমালোচনা করছি।
তিনি বলেন, টিআইবি এমন রিপোর্টের মাধ্যমে দেশের জনগণকেই অপমানিত করেছে। টিআইবির স্বচ্ছতা, জবাবদিহীতা নিশ্চিত করা দরকার।
৯ নভেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম
�