যে সিদ্ধান্তে পুঁজিবাজার ফের চাঙ্গা হতে পারে
ঢাকা : পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা আনার লক্ষ্যে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ বাড়ানোর সুযোগ সৃষ্টি করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ জন্য ব্যাংকিং নীতিমালায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সাবসিডিয়ারি কোম্পানিতে মূলধনের বিপরীতে ব্যাংকের ইক্যুয়িটি বিনিয়োগ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য হবে না।
ফলে ব্যাংকগুলো এখন আরো বেশি পরিমাণ অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারবে।
রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনার পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়, আগামী ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে তফসিলি ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনক্রমে প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন সাবসিডিয়ারি কোম্পানিতে প্রদত্ত মূলধনের বিপরীতে ধারণকৃত ইক্যুয়িটি শেয়ার, পুঁজিবাজারে তাদের একক বিনিয়োগ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবে না।
ব্যাংক কোম্পানি আইন-১৯৯১ এর সর্বশেষ সংশোধনী (২০১৩ এর সংশোধনী) অনুযায়ী ২০১৩ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমা নির্ধারণ করে দেয়। ওই সার্কুলারটি এখনো কার্যকর।
সার্কুলার অনুসারে, কোনো ব্যাংক কোম্পানির সাবসিডিয়ারি কোম্পানি না থাকলে সেই ব্যাংক কোম্পানি মূলধনের ২৫ শতাংশের বেশি বিনিয়োগ করতে পারবে না। এজন্য তিন বছর সময় দিয়ে অতিরিক্ত বিনিয়োগ ২০১৬ সালের ২১ জুলাইর মধ্যে নামিয়ে আনতে বলা হয়।
ব্যাংক কোম্পানি আইনের সর্বশেষ সংশোধনের আগে একটি ব্যাংক তার মোট দায়ের ১০ শতাংশ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারতো। তবে গত বছর আইন সংশোধন করে বিনিয়োগের হার মূলধনের অংশ হিসেবে বিনিয়োগ সীমা নির্ধারণ করা হয়। এতে করে পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ ক্ষমতা আগের তুলনায় কমে যায়।
কিন্তু রবিবার নতুন সার্কুলার জারির কারণে সাবসিডিয়ারি কোম্পানিতে বিনিয়োগের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ বাড়বে।
এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এআইবিএল ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী মো. গোলাম সারোয়ার ভুঁইয়া বলেন, পুঁজিবাজারে ব্যাংকের অতিরিক্তি বিনিয়োগ সমন্বয়ের একটা চাপ ছিল। এই সার্কুলার জারির ফলে সমন্বয়ের চাপ কিছুটা কমবে।
যারা আগে সমন্বয় করতে পেরেছে তাদের জন্য নতুন বিনিয়োগ সৃষ্টি হবে।
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাও আগের চেয়ে সক্রিয় হবে বলে মনে করেন তিনি।
২১ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএম/ডিআরএ