লড়াই হবে মির্জা ফখরুলের ভাইয়ের সঙ্গে তাহমিনার
ঠাকুরগাঁও : এবার ঠাকুরগাঁয়ে লড়াই হবে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তাহমিনা আক্তার মোল্লা এবং বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মির্জা ফয়সাল আমিনের মধ্যে। তারা নির্বাচনী গণসংযোগে ব্যস্ত।
পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে সব রাস্তায় ঝুলছে বিভিন্ন প্রতীকের পোস্টার আর প্রার্থীদের তত্পরতা। পাড়া-মহল্লায় ঘুুরে ঘুরে ভোটারদের মন জয় করতে নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন প্রার্থীরা।
ঠাকুরগাঁওয়ে এবার আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক তাহমিনা আক্তার মোল্লা। ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে এখনো যার পদচারণ নিজ দলে। উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে একবার নির্বাচিতও হয়েছিলেন তিনি। এবার তিনি মেয়র পদে লড়বেন নৌকা প্রতীক নিয়ে। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পক্ষের প্রতীক নৌকা। এই প্রতীকে নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি সাধারণ মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন, ভোট চাইছেন। এতে এখন পর্যন্ত তিনি সবার সহযোগিতা পেয়েছেন। তবে তিনি আক্ষেপ করে বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী তাঁকে সহযোগিতা করছেন না।
অন্যদিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ছোট ভাই বর্তমান জেলা বিএনপির সহসভাপতি মির্জা ফয়সাল আমিন মেয়র পদে লড়বেন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে। পারিবারিকভাবে যিনি এখনো রয়েছেন রাজনীতিতে। তাঁর বাবা মির্জা রুহুল আমিন ও বড় ভাই মির্জা ফখরুল ইসলামও ছিলেন এই পৌরসভার চেয়ারম্যান।
তিনি এবার প্রথম নির্বাচন করছেন। দলীয় প্রতীকে পৌর নির্বাচনকে সরকারদলীয় নেতারা স্বাগত জানালেও বিএনপির পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কিছুটা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন মির্জা ফয়সাল আমিন। তিনি বলেন, নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত। কারণ জনগণ তাঁকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে। প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকলে বিপুল ভোটে তিনি বিজয়ী হবেন।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক পৌর চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সোলায়মান আলী এবার মোবাইল ফোন প্রতীকে নির্বাচন করছেন।গত শনিবার জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহীর সভায় সোলায়মান আলীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। সোলায়মান আলী বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে দলের সঙ্গে রয়েছেন। দল এবার তাঁকে মনোনয়ন না দেওয়ায় তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী প্রকাশ্যে না থাকলেও গোপনে তাঁর নির্বাচন করছে।
ঠাকুরগাঁও পৌরসভায় এবার মেয়র প্রার্থী চারজন। এর মধ্যে দলীয় প্রতীকে দুইজন, স্বতন্ত্র প্রার্থী দুইজন। কাউন্সিলর পদে ৪৭ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৫ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এ পৌরসভায় ভোটার রয়েছে ৫২ হাজার ৯৩০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২৬ হাজার ৩৮৫ ও নারী ভোটার ২৬ হাজার ৫৫৪ জন।
২১ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএম/ডিআরএ