সোমবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৬:৩৬:৩৮

‘রাজপথে নামতে হবে’

 ‘রাজপথে নামতে হবে’

নিউজ ডেস্ক : দাওয়াত দিয়ে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীককে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বঙ্গভবনে প্রবেশ করতে না দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ। তিনি বলেন, ওই ঘটনার মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের গালে চড় দেয়া হয়েছে। এ অধিকার আপনাদের কে দিয়েছে? মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সোমবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির অন্যতম অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। গত ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মানে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির দেয়া বিজয় সংবর্ধনায় যোগ দিতে গেলে সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীককে বঙ্গভবনের গেট থেকে ফিরিয়ে দেয়া হয়। পরে সেখান থেকে ফিরে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ইবরাহিম লিখেন, ‘দাওয়াত পেয়ে বঙ্গভবনে গেলাম। গেইট থেকে ফেরত দিলেন এস এস এফ এর ক্যপ্টেন এবং ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট। বললেন, আপনাকে ফেরত যেতে হবে। ফেরত চলে আসলাম। বিষয়টা বোধগম্য হল না……। দাওয়াত না দিলে, মনে মনে বলতাম যে, রাজনীতিবিদ ইবরাহিমকে গোয়েন্দা সংস্থাগুলি ছাড়পত্র দেয়নি। কিন্তু দাওয়াত দিয়ে গেইট থেকে ফেরত দেওয়াটা…….?? মুক্তিযুদ্ধের “বীর প্রতীক” বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যাবেন না?’ জাফরুল্লাহ বলেন, অবশ্য রাষ্ট্রপতি নিজেও জানতে পারেননি। কারণ তিনিও মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতার এতদিন পরও মনে হয়, দেশ ভারতের একটি অঙ্গ রাজ্য হয়ে যাচ্ছে কী না। তিনি বলেন, আন্দোলনে সফল হতে ভুলভ্রান্তি ভুলে দলের সবাইকে ফিরিয়ে আনতে। বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে বৃহত্তর ঐক্য গড়তে তুলতে হবে। বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী, গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের আবদুর রবসহ সমমনা দলের নেতাদের নিয়ে ঐক্য গড়ার আহ্বান জানান তিনি। বিএনপি নেত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে অন্তত পাঁচটি জেলা পরিদর্শন করুন। এতে নেতাকর্মীদের মাঝে সাহস বাড়বে। গুলশানের অন্তরীণ অবস্থা থেকে আপনাকে রাজপথে নামতে হবে। তাহলে আন্দোলন সফল হবে। না হলে আপনি প্রশ্নবিদ্ধ হবেন। মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে সামবেশে বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন। অন্যদের মধ্যে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ কল্যন পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারাও অংশ নেন। ২১ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে