সোমবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৮:৪১:৪৬

মাঠে সেনা চাইলেন খালেদা

মাঠে সেনা চাইলেন খালেদা

নিউজ ডেস্ক : প্রথমবারের মতো পৌর নির্বাচন দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তাই সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন তিনি। সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি জানান। ‘নির্বাসিত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সাহসী মানুষের ঐক্য ও আন্দোলনের বিকল্প নেই’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল। খালেদা জিয়া বলেন, পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে সরকার নতুন ফন্দি এঁটেছে। এ নিয়ে তাদের গভীর ষড়যন্ত্র আছে। তারা দেখাতে চায় ধানের শীষের পক্ষে জনগণ নেই। সব নৌকাতে। কিন্তু নৌকা যে ডুবতে বসেছে তা তারা ভুলে গেছে। নৌকার মধ্যে কত গণ্ডগোল। তিনি বলেন, আমি বলে দিতে পারি সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপির ৮০ ভাগ প্রার্থী জয়লাভ করবে। কিন্তু বর্তমান নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা যায় না। খালেদা জিয়া বলেন, হাসিনা নিজে নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গ করেছেন। কিন্তু কমিশন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি, বোবা হয়েছে তারা। তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে। কিন্তু শেখ হাসিনা সেনা মোতায়েন করবেন না। পুলিশকে দলীয় বাহিনীতে রূপান্তরিত করেছে। ক্ষমতাসীনদের দেশের প্রতি মায়া নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, তারা কখনো স্বাধীনতা চায়নি। তারা ক্ষমতা চেয়েছে সবসময়। তারা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ হতো না। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধে নিহতদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। একে খন্দকার বইয়ে সত্য কথা লিখেছে তা প্রত্যাহার না করায় তাকে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। তিনি করেন, আওয়ামী লীগ কখনো মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করেনি। আওয়ামী লীগ সম্পর্কে ভালোভাবে বিশ্লেষণ না করলে বোঝা যাবে না তারা কত নোংরা আর হিংস্র। খালেদা জিয়া বলেন, সত্যিকারের রাজাকারদের বিচার চাই, তবে সে বিচার হতে হবে স্বচ্ছ ও আন্তর্জাতিক মানের। তাদের ঘরেও যুদ্ধাপরাধী। আরো বড় অপরাধী রয়েছে। তিনি বলেন, ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশ না নিলেও আমরা পরবর্তী নির্বাচনে গিয়েছি। কারণ এগুলো স্থানীয় নির্বাচন। স্থানীয় নির্বাচনে সবার মাঝে একটা আমেজ থাকে। এসময় তিনি ২০ দলের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করতে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আহ্বান জানান। বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দায়ী করেন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, হাসিনার হাতে রক্ত, রক্ত আর রক্ত। আমরা আল্লাহকে বিশ্বাস করি। আল্লাহ আমাদের সহযোগিতা করবে। আমাদের চেষ্টাও করতে হবে। মা-বোনসহ কোনো স্তরের মানুষ আজ ভালো নেই। মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) হাফিজ, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, অ্যাডভোকেট শিরিন সুলতানা, শামীমুর রহমান শামীম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ২১ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে