বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৮:৩৪:০৯

‘চরমোনাই পীরের দ্বন্দ্বেই জড়ানো হয়েছে’

‘চরমোনাই পীরের দ্বন্দ্বেই জড়ানো হয়েছে’

ঢাকা : ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার হত্যায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে প্রধান আসামি আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান মুফতি জসীমউদ্দিন রাহমানী দাবি করেছেন, ব্লগার কী আগে জানতেন না।চরমোনাই পীরের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণেই তাকে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে। এছাড়াও রাহমানী দাবি করেছেন, তিনি রাজীব হত্যার ব্যাপাের কিছু না জানলেও তাকে রিমান্ডে নিয়ে অত্যাচার করে চোখ বাঁধা অবস্থায় আসামি হিসেবে কয়েকজনের নাম বলতে বলেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ঢাকার তিন নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহম্মেদের এজলাসে আত্মপক্ষ সমর্থন করে দেওয়া বক্তব্যে এ দাবি করেন তিনি। তিনি লিখিত বক্তব্যের পর মৌখিকভাবে সম্পূরক বক্তব্য দেন। মুফতি জসীম তার শিক্ষাগত যোগ্যতা ও শিক্ষা জীবনের বৃত্তান্ত এবং আর্থিক অবস্থা তুলে ধরে বলেন, ব্লগার কী- এর আগে আমি জানতাম না। আমার আলোচিত বইয়ে মহাত্মা গান্ধীর প্রসঙ্গ ও উদ্ধৃতি রয়েছে। বিচারক সাঈদ আহমদ আসামি রাহমানীকে প্রশ্ন করেন, আপনি কেন মানুষ হত্যা করেন? আপনি যদি ভালোই হন তাহলে কেন আপনার নাম এই মামলায় এল। আপনার ভাষ্য মতে, আপনি খুব ভালো ছাত্র ছিলেন এবং আপনি জ্ঞানী। এত বড় হওয়ার চেষ্টা করেছেন কেন? জবাবে আনসারুল্লাহ সংগঠনের প্রধান বলে অভিযুক্ত মুফতি রাহমানী বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, আমি রাজীব হত্যা মামলার কিছু জানি না। এ সময় রাহমানী দাবি করেন, আমাকে রিমান্ডে নিয়ে অত্যাচার করা হতো। আমাকে পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে কয়েকবার অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়েছে। চোখ বাঁধা অবস্থায় আমাকে আসামি হিসেবে কয়েকজনের নাম বলতে বলেছে। এদিকে মঙ্গলবার রাজিব হত্যা মামলায় আরও ছয় আসামি আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দেন। তারা সবাই নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র। তাদের মধ্যে মৌখিক বক্তব্য দেন নাফিস ইমতিয়াজ, নাঈম ইরাদ ও এহসান রেজা রুম্মান। ফয়সাল বিন নাঈম দীপ, মাকসুদুল হাসান অনিক ও সাদমান ইয়াছির মাহমুদ তাদের বক্তব্য জমা দিয়েছেন লিখিতভাবে। ২৩ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএম/ডিআরএ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে