এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক: বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমননা এবং আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনে হামলা প্রতিবাদে ভারতীয় পণ্য বর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ আহ্বান জানিয়ে তিনি নিজ স্ত্রী আরজুমান আরা বেগমের দেওয়া ভারতীয় শাড়ি ছুড়ে ফেলে দেন। এরপর নেতাকর্মীরা তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ভারতীয় পণ্য বর্জন ও দেশী পণ্য ব্যবহারে উসাহিত করতে ‘দেশীয় পন্য কিনে হও ধন্য’ ব্যানারে এই অনুষ্ঠানটি হয়।
রিজভী বলেন, ‘যারা আমার দেশের পতাকাকে নেমে ছিঁড়ে ফেলে আমরা তাদের দেশের পণ্য বর্জন করব। তাদের দেশের যে শাড়ি কিনত আমাদের মা-বোনে-স্ত্রীরা তারা আর ভারতীয় শাড়ি কিনবে না। তারা ভারতের সাবান কিনবে না। তারা ভারতের টুথপেস্ট কিনবে না। তারা ভারতের কোনো কিছু কিনবে না।’
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘আমার দেশ আমরা স্বনির্ভর। আমার এখানে পেঁয়াজ হয়। ভারতের পেঁয়াজের চাইতে আমাদের পেঁয়াজের ঝাঁজ অনেক বেশি।
ভারতের মরিচের চাইতে আমাদের মরিচের ঝাল অনেক বেশি। আমাদের যদি জায়গা না থাকে আমরা ছাদের ওপরে মরিচ লাগাব। আমরা বাড়ির উঠানে পেঁপে গাছ লাগাব। আমরা এদের (ভারত) মুখাপেক্ষী হব না। আমরা ভারতীয় পণ্য বর্জন করব।
রিজভী বলেন, ‘বাসায় আমার স্ত্রীর একটি পুরনো শাড়ি ছিল। আমার স্ত্রী আমাকে একটি ইন্ডিয়ান শাড়ি দিয়েছে। আমি বলেছি, আজকে এটা দিয়ে দাও। সে এটা দিয়ে দিয়েছে। এই সেই ইন্ডিয়ান শাড়ি, এটা আজ আপনাদের সামনে আমি ছুড়ে ফেললাম। (তিনি তা ছুঁড়ে ফেললে কর্মীরা ভারতবিরোধী স্লোগান দিয়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়)। আর কোনো ভারতীয় শাড়ি নয়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা টাঙ্গাইলের শাড়ি পড়ব। আমরা রাজশাহীর সিল্ক পড়ব। আমরা কুমিল্লার খদ্দর পড়ব।’ এ সময় কর্মীরা স্লোগান দিতে থাকে ‘বয়কট বয়কট, ভারতীয় পণ্য’।
রিজভী বলেন, ‘আপনারা একটু দেবেন। আপনাদের ওপর মুখাপেক্ষী থাকব এটা ভাবার কারণ নাই। আপনারা একটু দেবেন আর যা বলবেন তা শুনতে হবে। এটা দুই-একজন হাসিনার মতো লোক বলতে পারে। কিন্তু কোটি কোটি বাংলাদেশের মানুষ এটা করবে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমার দেশের জনগনকে বলব, ওরা যে বাংলাদেশের লুণ্ঠিত করার চেষ্টা করেছে, ওরা যে বাংলাদেশের পতাকা পুড়িয়েছে, আমাদের মর্যাদাহানি করার চেষ্টা করেছে, আমরা ভারতের পতাকাকে লাঞ্ছিত করব না। আমরা আরেকটা স্বাধীন দেশের মর্যাদাকে ছোট করব না। আমরা প্রত্যেক জাতির স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে সন্মান করব। আমরা ওদের মতো ছোটলোকি করব না। আমরা ওদের দেশের পতাকাকে সন্মান করব। কিন্তু ওদের পণ্য বর্জন করব।’