বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:২৯:২১

ভারতীয় রুপি কেনার কোনো ক্রেতাই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না

ভারতীয় রুপি কেনার কোনো ক্রেতাই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক: এবার ছাত্র বিক্ষোভ ও গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। পরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দূতাবাস থেকে বেশকিছু কর্মী দেশে ফিরিয়ে নেয় ভারত। পাশাপাশি ভিসা কার্যক্রমও বন্ধ ঘোষণা করে দেশটি। পরে স্বল্প পরিসরে মেডিকেল ও স্টুডেন্টসহ জরুরি ভিত্তিতে ভিসা দেয়া শুরু করে ভারতীয় হাইকমিশন। তবে ভ্রমণসহ বেশকিছু ভিসা কার্যক্রম বন্ধই থেকে গেছে।

সম্প্রতি ইসকন নেতা চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তার ইস্যুতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বিভিন্ন ভুয়া খবর প্রচার করে দাবি করা হয় বাংলাদেশে সনাতনীদের নির্যাতন করা হচ্ছে। একই বিষয়ে ভারতের শাসক দল বিজেপির নেতারা বাংলাদেশিদের কটাক্ষ বিভিন্ন বক্তব্য দিতে থাকে। সোমবার (০৩ ডিসেম্বর) ত্রিপুরায় বাংলাদেশি উপ দূতাবাসে হামলা চালায় উগ্রবাদী হিন্দুরা। এর ফলে মিশনটির কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ সরকার। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বাংলাদেশবিরোধী এমন অবস্থানের পর যাদের বৈধ ভারতীয় ভিসা আছে তারাও দেশটিতে যেতে ভয় পাচ্ছেন।

এদিকে স্বাভাবিক ভিসা কার্যক্রম বন্ধ ও ভারতমুখী যাত্রী কমে যাওয়ায় ঢাকায় কমেছে রুপির মান। এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো ভারতীয় রুপি বিক্রির জন্য দাম চাচ্ছে ১.৪২ টাকা থেকে ১.৪৬ পর্যন্ত। আগের সপ্তাহেও যা রুপি প্রতি ১.৪৮ থেকে ১.৫০ টাকায় বিক্রি হতো। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দেশের খোলাবাজারে ডলারের বিক্রি স্বাভাবিক থাকলেও ভারতীয় রুপির কোনো ক্রেতাই খুঁজে পাচ্ছেন না এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো।

বুশরা মানি এক্সচেঞ্জের ম্যানেজার এ এস এম মোমেন চ্যানেল 24 অনলাইনকে জানান, আগে দিনপ্রতি ১-২ লাখ রুপি বিক্রি হতো। কিন্তু এখন ১৫ দিনেও তা বিক্রি হচ্ছে না। বাজারে রুপির ক্রেতা নেই বললেই চলে, যা কিছু মানুষ আসছেন তারা নিজেদের কাছে থাকা রুপি বিক্রির জন্য।

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর এক মানি এক্সচেঞ্জের কর্ণধার বলেন, ''মূলত টুরিস্টরা ভারত থেকে আসার সময় রুপি নিয়ে আসতেন, সেগুলো আমরা কিনে বাংলাদেশ থেকে যারা ভার‍তে যেতেন, তাদের কাছে বিক্রি করতাম। এখন ভারত থেকে টুরিস্ট আসা  যেমন কমে গেছে, তেমন দেশ থেকেও কোনো টুরিস্টই যাচ্ছেন না। ফলে আমাদের কাছে রুপির মজুদ কমেছে, পাশাপাশি বিক্রিও ঠেকেছে তলানিতে। বাজারে রুপির ক্রেতা খুব কম হওয়ায় রুপির দামও কমে যাচ্ছে।''

রুপির দাম কমলেও দাম খোলাবাজারে বেড়েছে ডলারের দাম। মতিঝিল, পল্টন, বাইতুল মোকাররম এলাকায় ডলার বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খোলাবাজারে প্রতি ডলার বিক্রি হচ্ছে ১২৪ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ৫০ পয়সা পর্যন্ত, যা এক সপ্তাহ আগের তুলনায় প্রায় এক টাকা বেশি।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে