সোমবার, ০৫ মে, ২০২৫, ০৭:৪২:১২

সুখবর ডাবল জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন ও নিবন্ধন আবেদন ইস্যুতে

সুখবর ডাবল জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন ও নিবন্ধন আবেদন ইস্যুতে

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবাকে সহজ, দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য করতে ডাবল এনআইডি এবং দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা সংশোধন ও নিবন্ধন আবেদনের দ্রুত নিষ্পত্তিতে উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ লক্ষ্যে এনআইডি অনুবিভাগে দায়িত্ব বণ্টন ও ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের পরিকল্পনা নিয়েছে সংস্থাটি।

সোমবার (৫ মে) জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর নিজ দফতরে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, জেলা পর্যায়ে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা পর্যায়ে এনআইডি সংশোধনের যে ক্ষমতা ছিল সেই দায়িত্ব জেলা অফিসারকেও দিচ্ছি। আমরা মানুষের সেবা নিশ্চিত করার জন্য যৌক্তিক আবেদনগুলো কমিশন দ্রুত অনুমোদন দিচ্ছে। কমিশন ও সচিবালয় আমরা সবাই মিলে মানুষেকে দ্রুত সেবা দিতে চাই। দ্বিতীয়ত আমাদের এনআইডি অনুবিভাগে প্রচুর আবেদন ঝুলে আছে। এগুলো যাতে দ্রুত নিষ্পত্তি করতে পারি সেজন্য দায়িত্ব বন্টন করে দিচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, ইসি সচিবালয়ের অফিসারদের মাঝেও একটু ক্ষমতা পরিবর্তন করছি, যাতে সহজ হয়। আমাদের আঞ্চলিক পর্যায়ে ক্যাটাগরি করার ক্ষমতা দেওয়া আছে। আমরা মনটিরিং করছি। অনেকেই হয়তো ক্যাটাগরি ঠিকমতো করছে; কেউ হয়তো করছে না।

দ্বৈত ভোটার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডাবল এনআইডি আছে এমন নাগরিকের সংখ্যা ৫০০ প্লাস। আগামি সপ্তাহে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখতে পারবেন। প্রায় ১৩ কোটি প্লাস তথ্য একটা একটা করে খোঁজা সম্ভব নয়। কেউ যদি তথ্য দেয় আর আমরা যদি দেখতে পাই তাহলে ব্যবস্থা নিই।

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের ডাটাবেজের বিষয়ে প্রথম সিদ্ধান্ত ছিল; ইসিকে এপিআই’র মাধ্যমে এটা দেওয়ার কথা ছিল গত সপ্তাহে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য দফতর মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, এই তথ্য আমাদের কাছে থাকবে। যেখান থেকেই হোক তথ্যটা যেন পাই, আমরা তথ্যটা পেলেই খুশি। রোহিঙ্গা আর বিদেশিদের আমরা আমাদের ডাটাবেজে প্রবেশ করতে দেব না।

জাতিসংঘের রোহিঙ্গা ডাটাবেজ কোন মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের ডাটাবেজ সার্ভার কোন মন্ত্রণালয়ে যাবে তা এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। আগের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে এই সপ্তাহের মধ্যে আমরা পেয়ে যেতাম। এখন সরকারের যদি বিকল্প সিদ্ধান্ত থাকে, এখন যেখানেই থাকুক আমরা যদি রোহিঙ্গাদের আঙ্গুলের ছাপ যাচাই করতে পারি তাহলেই হবে।

ডিজি এনআইডি বলেন, ভোটার করার বিষয়ে আমরা মাত্র কয়েকদিন আগেই নিবন্ধনের কাজ শেষ করলাম। ওই ৫৬টি বিশেষ উপজেলায় এবং যেকোনো জায়গায় আমাদের যে টেকনিক আছে সেগুলো অব্যাহত থাকবে। কাজেই তাদের ভোটার তলিকায় ঢুকে যাওয়া সহজ হবে না। ভোটার হতে যে কেউ আসলে আমরা যত রকমভাবে সম্ভব চেক করে নেব।

প্রবাসীদের ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রমের অগ্রগতি নিয়ে তিনি বলেন, প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন আমরা অস্ট্রেলিয়াতে চালু করেছি। সেখানে নিয়মিত ভোটার হচ্ছে। এখন আটটি দেশে চলছে। আগামি সপ্তাহ নাগাদ কানাডাতে শুরু হবে। তখন নয়টা দেশ হবে। অন্যান্য দেশে চালু করার জন্য যে সমস্যা হচ্ছে দূতাবাসে জায়গার অভাব। অর্থ মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মিটিং করেছি। আগামি সপ্তাহে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করব। প্রবলেম চিহ্নিত ও সমাধান করে যেন ৪০টি দেশে কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। এ মাসের শেষ নাগাদ আরেকটু অগ্রগতি হবে বলে আশা করি। আমেরিকায় এখনও অনুমতি পাইনি। পেলে কাজ শুরু করতে পারব।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে