এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : ময়মনসিংহে এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে সেনাবাহিনীর মেজর পরিচয়ে বিয়ে করা ভুয়া মেজর ও তার তিন সহযোগীকে আটক করেছে র্যাব-১৪। রোববার (৪ মে) রাতে জেলার মুক্তাগাছা থেকে চার সদস্যকে গ্রেফতারের পর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সোমবার (৫ মে) বিকেলে র্যাব-১৪ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আটকরা হলেন- ভুয়া মেজর পরিচয় দেওয়া মো. মাহিন হোসেন ওরফে মাহিন আল মামুন (৩১)। তিনি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মরকাটা বাজার গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। অন্যরা হলেন- মো. ইউসুফ হোসেন (৩৫), মো. মোর্শেদ (৩৫) এবং মনির হোসেন (৩২)। এর মধ্যে ইউসুফ ও মোর্শেদের বাড়ি কুমিল্লায় এবং মনির হোসেনের বাদি মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে।
র্যাব জানায়, ময়মনসিংহের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া মেয়ের সঙ্গে কয়েক মাস আগে পরিচয় হয় মাহিন আল মামুনের। নিজেকে সেনাবাহিনীর মেজর পরিচয় দিয়ে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান দুজন। ফাঁদে ফেলে গত ৯ এপ্রিল পরিবারকে না জানিয়ে ভুয়া মেজর পরিচয় দেওয়া আল মামুন মেয়েটিকে বিয়ে করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে মেয়ের বাবা তার জামাতাকে নিয়ে বাড়িতে যেতেন বলেন। গত ৩০ মে শ্বশুর বাড়িতে নিজের সঙ্গীরাসহ বেড়াতে যান মামুন। সেখানে যাওয়ার পর শ্বশুর বাড়ির লোকন মেজর হিসেবে আইডি কার্ড ও কর্মস্থল সম্পর্কে জানতে চাইলে অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে থাকে।
একপর্যায়ে ভুয়া মেজর পরিচয় দেয়া ব্যক্তি জানায় তিনি র্যাব-১৪ অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে তরুণীর বাবার সন্দেহ হলে ময়মনসিংহ ও ঢাকা সেনানিবাসে যোগাযোগ করেন। এতে মামুনের দেয়া মেজর আইডি সঠিক পাওয়া যায়নি। ওই অবস্থায় র্যাব-১৪ ময়মনসিংহ কার্যালয়ে অভিযোগ করলে রোববার রাত সাড়ে ৩টার দিকে অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের চার সদস্যকে আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে তিনটি মুঠোফোন, নগদ ৩ হাজার ৯০০ টাকা ও একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়।
র্যাব-১৪ ময়মনসিংহের অধিনায়ক নয়মুল হাসান বলেন, ভুয়া মেজর পরিচয় দেওয়া মাহিন আল মামুন দীর্ঘদিন ধরে সহযোগিদের নিয়ে প্রতারণামূলক কাজ করে যাচ্ছিল। তাদেরকে মুক্তাগাছা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মুক্তাগাছা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রিপন চন্দ্র গোপ বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। মঙ্গলবার চক্রটিকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।