সোমবার, ০৫ মে, ২০২৫, ০৭:৪৫:২৬

তারেক রহমানের বাসা থেকে হিথ্রো বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওয়ানা করেছেন খালেদা জিয়া

তারেক রহমানের বাসা থেকে হিথ্রো বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওয়ানা করেছেন খালেদা জিয়া

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : চিকিৎসা শেষে প্রায় চার মাস পর দেশে আসছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ইতোমধ্যে তিনি লন্ডনে তারেক রহমানের বাসা থেকে হিথ্রো বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওয়ানা করেছেন।

সোমবার (৫ মে) স্থানীয় সময় দুপুরে (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যায়) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিজেই ড্রাইভিং করে মাকে নিয়ে হিথ্রো বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওয়ানা করেন। খালেদা জিয়ার সঙ্গে দুই পুত্রবধূ, ব্যক্তিগত চিকিৎসকসহ আরও কয়েকজন রয়েছেন। 

হিথ্রো বিমানবন্দরে কাতার আমিরের দেওয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রয়েছে। স্থানীয় সময় বিকেলে এটি খালেদা জিয়াকে নিয়ে ঢাকার পথে রওয়ানা করবে। তবে মাঝে কাতারে যাত্রাবিরতি করবে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি। আগামীকাল সকাল ১০টার দিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার কথা রয়েছে।

এদিকে হিথ্রো বিমানবন্দরে আগে থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা ভিড় করেছেন তাদের প্রিয় নেত্রীকে বিদায় জানাতে। ঢাকায়ও খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানানোর ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি।

গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। সেখানে লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। টানা ১৭ দিন লন্ডন ক্লিনিকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে ২৫ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে তারেক রহমানের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানেই এতদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন।

বিএনপির চেয়ারপাসন ২০১৮ সালে তৎকালীন শেখ সরকারের আমলে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার হয়ে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন। কোভিড-১৯ মহামারির সময় সরকার তাকে বিশেষ বিবেচনায় কারামুক্তি দেয়। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের এক আদেশে খালেদা জিয়া মুক্তি পান। এরপর দুর্নীতির যে দুটি মামলায় তিনি কারাবন্দি ছিলেন, সেগুলোর রায় বাতিল করেন আদালত। এতে তাঁর বিদেশ যাওয়ার পথ সুগম হয়। 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে