মঙ্গলবার, ০৬ মে, ২০২৫, ০৪:২৭:০৩

এই দৃশ্যটি অনেক দিন পর দেখল দেশবাসী

এই দৃশ্যটি অনেক দিন পর দেখল দেশবাসী

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : লন্ডনে উন্নত চিকিৎসা নিয়ে অনেকটা সুস্থ হয়ে আজ দেশে ফিরলেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। হুইলচেয়ার নিয়ে চলাচল করা বিএনপির চেয়ারপারসন সবাইকে অনেকটা বিস্মিত করে দিয়ে গুলশানে নিজ বাসা ফিরোজায় গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হেঁটে প্রবেশ করেন। এ সময় দুই পাশে দুই পুত্রবধূ তাকে ধরে রাখেন। এই দৃশ্যটি অনেক দিন পর দেখল দেশবাসী।

মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে তিনি গুলশানের বাসভবনে পৌঁছেন। 

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বেগম খালেদা জিয়াকে বহনকারী কাতার আমিরের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশে ফিরেছেন তার পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান ও প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শার্মিলা রহমান।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে ফিরোজার উদ্দেশে রওনা দেন খালেদা জিয়া।

এ সময় তাকে শুভেচ্ছা জানাতে সড়কে নেতাকর্মীদের ঢল নামে। জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা নিয়ে সড়কের দুই পাশে দাঁড়িয়ে বিএনপির চেয়ারপারসনকে স্বাগত জানান নেতাকর্মীরা।

বেগম জিয়া কিছুটা সুস্থ হয়ে দেশে ফেরায় স্বস্তি প্রকাশ করছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। দেশে ফিরে আবারও বিএনপির নেতৃত্ব ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে ভূমিকা রাখবেন, এমনটাই প্রত্যাশা করেন নেতাকর্মীরা।

লন্ডনে উন্নত চিকিৎসা ও পরিবারের সান্নিধ্যে চার মাস কাটিয়ে দেশে ফিরলেন খালেদা জিয়া। দুই পুত্রবধূ ছাড়াও মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য, যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক ও সাধারণ সম্পাদক কায়সার এম আহমেদও দেশে ফিরেছেন।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাগারে যাওয়ার দিনও খালেদা জিয়া পায়ে হেঁটেই গিয়েছিলেন। তবে ২০২০ সালের মার্চে যখন বের হন তখন হুইলচেয়ারে করে বের হয়েছিলেন। এর পর থেকে তার অবস্থার শুধু অবনতিই হয়েছে।

উল্লেখ্য, উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৮ জানুয়ারি যুক্তরাজ্যের লন্ডনে যান বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তাঁর শারীরিক অসুস্থতার কথা জেনে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স দিয়েছিলেন। সেটিতেই তিনি লন্ডনে যান। কাতারের আমিরের দেওয়া এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সেই আবার লন্ডন থেকে দেশে ফিরলেন তিনি।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে