এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি) জানিয়েছে, আগামী ১৬ থেকে ১৮ মে’র মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণন তৈরি হতে পারে, যা পর্যায়ক্রমে ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। পাশাপাশি, ১২ মে’র মধ্যে দেশের তাপমাত্রা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শনিবার (১০ মে) বিডব্লিউওটি এসব তথ্য জানায়।
তাপপ্রবাহের বর্তমান অবস্থা
বিডব্লিউওটি জানায়, বর্তমানে দেশের ওপর দিয়ে শক্তিশালী তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। খুলনা, রাজশাহী, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগে এর তীব্রতা সবচেয়ে বেশি। ধারণা করা হচ্ছে, ১৩ মে থেকে এই তাপপ্রবাহ ধীরে ধীরে কমতে শুরু করবে এবং ১৫ মে’র মধ্যে তা পুরোপুরি দুর্বল হয়ে পড়বে।
তবে ১৫ মে পর্যন্ত খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল ও রংপুর বিভাগ এবং ঢাকা বিভাগের কিছু এলাকায় এই তাপপ্রবাহ সক্রিয় থাকতে পারে। আজ থেকে ১২ মে’র মধ্যে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
বৃষ্টিবলয়ের আগমন ও সম্ভাব্য প্রভাব
তাপপ্রবাহের পরপরই একটি ক্রান্তীয় আংশিক বৃষ্টিবলয় দেশের দিকে ধাবিত হতে পারে। এটি ১৩ মে থেকে সক্রিয় হয়ে ১৫ মে থেকে অধিকতর সক্রিয় হতে পারে।
এই বৃষ্টিবলয়ের ফলে তাপপ্রবাহ কমে যাবে। এটি বজ্রপাতসহ শক্তিশালী বৃষ্টিবলয় হবে, যা সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকবে সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে। অন্যদিকে, খুলনা, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিভাগে এটি তুলনামূলকভাবে কম সক্রিয় থাকবে।
বৃষ্টিবলয়টি ১৩ থেকে ২০ মে পর্যন্ত সক্রিয় থাকতে পারে। এর মধ্যে ১৫ থেকে ১৯ মে সময়কালে এটি সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলবে। তবে এই বৃষ্টির পর আবারো তীব্র তাপপ্রবাহ আসতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা
বিডব্লিউওটি আরও জানায়, বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে এই ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় সব আবহাওয়াগত প্যারামিটার উপস্থিত থাকতে পারে।
ফলে, ১৬ থেকে ১৮ মে’র মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণন তৈরি হতে পারে, যা পর্যায়ক্রমে ঘনীভূত হয়ে লঘুচাপ, সুস্পষ্ট লঘুচাপ, নিম্নচাপ, গভীর নিম্নচাপ এবং অবশেষে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
সতর্কতা ও পরামর্শ
এ প্রেক্ষাপটে বিডব্লিউওটি বলছে, মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে গভীর সাগরে বিচরণের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে আবহাওয়া অফিসের নিয়মিত আপডেট ও নির্দেশনা অনুসরণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।