এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা সীমান্ত দিয়ে গভীর রাতে ৭৫১ জনকে পুশইন চেষ্টা করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনি বিএসএফ। তবে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনি বিজিবি ও স্থানীয় জনতার কঠোর প্রতিরোধের মুখে তারা সেটা পারেনি। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাতভর সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করে। তবে পরিস্থিতি টের পেয়ে বিএসএফ সরে যাওয়ায় শেষমেশ কোনো সমস্যা হয়নি।
একাধিক সূত্র জানায়, বিভিন্ন সময়ে গুজরাট, ত্রিপুরায় ও রাজস্থানে আটক ৭৫১ জনের বেশি রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশের নাগরিককে পুশইনের চেষ্টা করা হয়।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত (১৬ মে) ৩টার দিকে বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের সীমান্ত দিয়ে ওই ৭৫১ জনকে পুশইন করতে জড়ো হয় বিএসএফ। খবর পেয়ে সতর্ক অবস্থান নেয় বিজিবি। যোগদেয় স্থানীয় লোকজনও। মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে সিঙ্গারবিল, বিষ্ণুপুর, নলঘরিয়া, মেরাসানী, নোয়াবাদী সীমান্তে শত শত লোক দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে জড়ো হন। অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসে লোকজনকে জড়ো হওয়ার আহবান জানান। এতে শতত শত লোক সীমান্তে জড়ো হলে পিছু হটে বিএসএফ।
ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার বাচ্চু মিয়া শুক্রবার সকালে সাংবাদিকদের জানান, এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। রাত ৩টার দিকে বিজিবির মাধ্যমে খবর পেয়ে এলাকার মানুষকে সীমান্তে যেতে বলি। লোকজন জড়ো হলে বিএসএফ সরে যায়।
ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার মামুন চৌধুরী বলেন, বিএসএফ পুশইনের চেষ্টা করলে এলাকায় মাইকিং করা হয়। বিজিবির সহযোগিতায় লোকজন সীমান্তে গিয়ে জড়ো হয়ে তাদেরকে পিছু হটতে বাধ্য করে। তবে কতজনকে সীমান্তে আনা হয়েছিল সেটা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না।
বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাধনা ত্রিপুরা বলেন, সীমান্তের পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। পুশইন চেষ্টার খবরে জনগণ বিজিবির সঙ্গে থেকে প্রতিহত করেছে। এখনও সতর্ক অবস্থানে আছেন সবাই।
বিজিবি-২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল জাব্বার আহাম্মেদ জানান, বিএসএফ পুশইন করবে বলে খবর আসে। এ অবস্থায় বিজিবি সতর্ক অবস্থান নেয়। এমন খবরে গ্রামবাসীও সীমান্তে জড়ো হয়। শেষ পর্যন্ত বিএসএফের চেষ্টা বিফল হয়। আমরা সীমান্তের প্রতিটি এলাকায় টহল জোরদার করেছি। যেকোনো ধরনের অপচেষ্টা ব্যর্থ করে দেবো আমরা। এ বিষয়ে বিজিবিকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।