নিউজ ডেস্ক : কুমিল্লার ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যার প্রাথমিক তদন্তে তনুকে উত্ত্যক্ত করার তথ্যও পাওয়া গেছে। তনুকে হত্যার আর কোনো কারণ খুঁজে পায়নি তদন্তকারীরা। তাই দেশব্যাপী চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে তনুর উত্ত্যক্তকারী সেই যুবককে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি তনুর সঙ্গে ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় কার কার যোগাযোগ ছিল তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বুধবার একাধিক সূত্র এসব তথ্য জানায়। একাধিক সূত্র জানায়, প্রাথমিক তদন্তে তনুর উত্ত্যক্তকারী খোঁজা হয়েছে। পরিবার শুধু পিয়াল নামে এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের নাম জানাতে পেরেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ডিবি পুলিশ। তবে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়নি।
তনুর লাশের কাছে থেকে দুটি মোবইল ফোন উদ্ধার করা হয়। স্বজনরা নিশ্চিত করেছেন দু’টি মোবাইল ফোনই তনুর। এর মধ্যে একটি লাশ উদ্ধারের কিছু সময় আগে পর্যন্ত চালু ছিল। অন্যটি খুলে ব্যাটারি আলাদা করা হয়। চালু থাকা মোবাইল ফোনে লাশ উদ্ধারের কিছু সময় আগে তার বাবার কল ঢোকে। এই দুটি মোবাইল ফোনের কললিস্ট যাচাই করে তদন্ত শুরু হয়েছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে তনুর সঙ্গে কার কার যোগাযোগ ছিল।
চাচাতো বোন লাইজু জাহান তনুর সমবয়সী এবং বান্ধবী। ভিক্টোরিয়া কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথম বর্ষের ছাত্রী লাইজু ছোটবেলা থেকেই তনুদের বাসায় থাকেন। পুলিশকে তিনি জানান, পিয়াল ছাড়া কেউ কখনও তনুকে উত্ত্যক্ত করেছিল বলে জানা নেই। তবে শিক্ষার্থী পড়াতে যাওয়া আসার সময় তনু এক রকম নিচের দিকে তাকিয়ে চলতেন। হিজাব পরতেন। বলতেন, লোকজন তার দিকে ‘ক্যামন করে যেন’ তাকায়। সূত্র: বাংলামেইল
৩১ মার্চ, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএস