রবিবার, ০৩ এপ্রিল, ২০১৬, ০২:১৩:৪২

এক অসহায় বাংলাদেশি বালকের নিয়তি

এক অসহায় বাংলাদেশি বালকের নিয়তি

নিউজ ডেস্ক : মায়া মমতাহীন এক সৎমায়ের কাছেই ফিরতে হচ্ছে বাংলাদেশি ১৫ বছর বয়সী এক বালককে। তার প্রকৃত মা রয়েছেন পাকিস্তানের করাচিতে। সৎ মায়ের অত্যাচার থেকে বাঁচতে ভারত হয়ে করাচিতে সেই মায়ের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল সে। এ জন্য বাংলাদেশ থেকে অবৈধ উপায়ে ভারতে প্রবেশ করে।

উদ্দেশ্য ভারত থেকে সীমান্ত পেরিয়েই মায়ের উষ্ণ ভালবাসা পাওয়া। কিন্তু তার বদলে ভারতে পুলিশের হাতে আটক হয়ে আড়াই বছর ভুপালে জেল খেটেছে সে। এখন তাকে বাংলাদেশেই ফেরত পাঠানো হচ্ছে। তবে তার নাম, ঠিকানা প্রকাশ করা হয়নি। এ খবর দিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস। এতে বলা হয়, ২০১৩ সালের অক্টোবরে ভুপালের রেল স্টেশনে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে সে।

তাদেরকে সে বলে, বাংলাদেশে তার সৎ মা অত্যাচার করে। তাই পালিয়ে করাচিতে তার আসল মায়ের কাছে যাওয়ার জন্য ভারতে প্রবেশ করেছে। এ অপরাধে তার জেল হয়। বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হলে সে কি কোনো আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই পাবে নাকি তার পিতার হাতে পড়বে তা স্পষ্ট নয়। তবে ওই বালকটি বলেছে, আমি আমার পিতার ঘরে ফিরে যাব না। আমি আমার আবেগ, অনুভূতি প্রকাশ করতে পারছি না। তবে আশা রাখি বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানে আমার মায়ের কাছে যেতে পারবোই, যা ভারত থেকে সম্ভব নয়।

বালকটিকে কলকাতা ভিত্তিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সংলাপের হাতে তুলে দেয়ার কথা রয়েছে। তারাই তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে। তার দেখাশোনা করছেন আরম্ভ নামের একটি এনজিওর অর্চনা সাহা। বালকটিকে কলকাতা নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে তার।

তিনি বলেছেন, ছেলেটির মা তাকে বলেছেন ভারতের চেয়ে বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানে পাড়ি দেয়া সহজ হবে। অর্চনা বলেন, যদিও সে পাকিস্তানে তার মায়ের কাছে যাচ্ছে না। তবু আমি খুশি এ জন্য যে, তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। তাকে সহায়তা করতে সবাই হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে তার খবর হিন্দুস্তান টাইমস পত্রিকায় প্রকাশের পর চারদিক থেকে সহায়তা আসতে থাকে। ভুপালের একজন যুবক করাচিতে তার মাকে চিহ্নিত করতে সহায়তা করেন। তার সঙ্গে তার ছেলের মিলন ঘটিয়ে দিতে কূটনৈতিক চ্যানেলে চেষ্টা করা হয়। এগিয়ে আসেন পাকিস্তানের মানবাধিকার কর্মী আনসার বার্নি।

পদক্ষেপ নেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ, রাজ্যের নারী ও শিশু উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী মায়া সিং। ততক্ষণে পাকিস্তানের করাচিতে ছেলেটির মা রাজিয়া বেগমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ভারতীয় হাইকমিশনার টিসিএ রাঘবন। অন্যদিকে ভুপালে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা ছেলেটির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন পাকিস্তান হাইকমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি খাদিম হোসেন। তবে যেহেতু ওই নিশ্চিত হতে পারেননি যে, ওই ছেলেটিই তার ছেলে তাই সব উদ্যোগ ব্যর্থ হয়। -এমজমিন

৩ এপ্রিল, ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে