বিনোদন ডেস্ক : স্টিভ স্মিথের আউট এবং বিরাট কোহলির প্রতিক্রিয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। আর এই বিতর্কের জন্ম দিয়েছে চ্যানেল নাইন। সম্প্রচারক চ্যানেলটিও কিন্তু এখন জড়িয়ে পড়েছে নতুন বিতর্কে।
টি টোয়েন্টি ম্যাচ চলাকালীন অন-ফিল্ড মাইক্রোফোন ব্যবহার করা কি উচিৎ? এ নিয়ে প্রশ্ন উঠল। এবং তা হল ভারত-অস্ট্রেলিয়া প্রথম টি টোয়েন্টি ম্যাচের অব্যবহিত পরেই।
স্টিভ স্মিথের প্যাভিলিয়নে ফেরার পরই টুইটারে ঝড় উঠেছে। সমালোচনার কেন্দ্রে এখন সম্প্রচারক চ্যানেলটি। চ্যানেল নাইন অভিনব কৌশল অবলম্বন করেছে। ম্যাচ চলাকালীন খেলোয়াড়ের সঙ্গে কথোপকথনের ব্যবস্থা করেছে চ্যানেল নাইন। মঙ্গলবার স্মিথ যখন ক্রিজে রয়েছেন, সেই সময়েই চ্যানেল নাইনের তরফে তাকে ধরা হয় চ্যাটের জন্য। ক্রিজে স্মিথের সঙ্গে তখন অ্যারন ফিঞ্চ।
ভারতের করা ১৮৮ রান তাড়া করছে অজিরা। চ্যানেল নাইনের সঙ্গে চ্যাটের পরেই রবীন্দ্র জাদেজার বলে মিড-অফে বিরাট কোহলির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান স্মিথ। আর তার পরেই অস্ট্রেলিয়ার জেতার আশা শেষ হয়ে যায়। স্মিথকে তালুবন্দি করার পরে কোহলি শুরু করে দেন তার নাটক। অঙ্গভঙ্গি শুরু করে দেন। হাত দিয়ে কিছু একটা ইঙ্গিতও করেন।
গোটা ব্যাপারটা ভাল ভাবে নেননি অজি-সমর্থকরা। দলের হারের জন্য ওই কথোপকথনকেই দায়ী করা হয়েছে। টুইটারে ঝড় উঠেছে। এক সমর্থক লিখেছেন, ‘‘চ্যানেল নাইনের সঙ্গে কথোপকথনের পরেই মনোসংযোগে ব্যাঘাত ঘটে স্মিথের। আর ও ফিরে যাওয়ার পরেই অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ থেকে হারিয়ে যায়।’’
অনেকে আবার বলেন, ‘‘লাইভ চ্যাটের সমালোচনা করেই কোহলি অঙ্গভঙ্গি করেন।’’ একজন টুইটার-বন্ধু বলেন, ‘‘দর্শকদেরও আমরা ম্যাচে জড়াতে চাইছি। আমাদের ভুললে চলবে না, এটা লড়াই। স্মিথ মোটেও স্বচ্ছন্দ ছিল না। কোহলি এটা জানত।’’
আর একজন বলেছেন, ‘‘স্মিথের প্রতি কোহলির বার্তা খুবই পরিষ্কার। আর সেটা হল, এটা ক্রিকেট। টেলভিশন-সাক্ষাৎকারের জায়গা নয়।’’
এক বর্যীয়ান ক্রীড়া সাংবাদিকের কথায়, ‘‘টি টোয়েন্টি মানে কি ক্রিকেট কার্নিভাল?’’ কার্নিভ্যালই যদি হয়, তাহলে আর লড়াইটা কোথায়! দর্শকদের কাছে আনতে, তাদের আরও বেশি করে ম্যাচের আবেগ গায়ে মাখার জন্য সম্প্রচারক চ্যানেল উদ্ভাবনী ক্ষমতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে নিত্যনতুন। কিন্তু তাতে তো খেলাটাই বালখিল্যতার পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে। এটা কি কেউ ভেবে দেখেছেন?
২৮ জানুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ/এসএস/এসবি