স্পোর্টস ডেস্ক : ফিলিপ হিউজের ঘটনা অনেকেরই জানা। শন অ্যাবোটের বাউন্সারে ঘাড়ে আঘাত লেগে মৃত্যু হয়েছিল তার। ক্রিকেট খেলায় এমন একটি দুর্ঘটনা বাংলাদেশেও ঘটেছিল, দুর্ঘটনার শিকার সেই ক্রিকেটার আবার ভারতীয়।
১৯৯৮ সাল। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল আবাহনী ক্রীড়া চক্র ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। অধিনায়ক খালেদ মাসুদের কথায় লাম্বা শর্ট লেগে ফিল্ডিংয়ে দাঁড়ান। মাথায় হেলমেট পরেননি তিনি। সাইফুল্লাহ খানের শর্ট ডেলিভারিতে সপাটে পুল করেন মেহরাব হোসেন। বল লাম্বার ঘাড়ের পেছনের দিকে লেগে উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে জমা পড়ে। মেহরাব হোসেন আউট হন। লাম্বা পড়ে গেলেও উঠে যান। পরে ড্রেসিংরুমের দিকে রওনা দেন। শরীর খারাপ লাগতে থাকায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
লাম্বাকে পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি করা হয়। বেশ কয়েকজন ডাক্তারের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় দিল্লি থেকে উড়িয়ে আনা হয় বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। তাতেও কাজ হয়নি, লাম্বা আর ফেরেননি। কোমায় থেকে ৩ দিন পর মৃত্যুবরণ করেন।
এই প্রসঙ্গ সামনে আনার একটা কারণ আছে। আজকের দিনেই ৩৮ বছর বয়সে মারা গিয়েছিলেন লাম্বা, অপ্রত্যাশিত ঘটনার ২৭ বছর পূর্ণ হলো।
এই ঘটনা নিয়ে ২০২১ সালে সময় সংবাদের সঙ্গে খালেদ মাসুদ বলেন, ‘মেহরাব হোসেনের পুল শটটা লাম্বার ঘাড়ের পেছনের দিকটায় লাগে। বলটা আমি ক্যাচ ধরি, তখনই বুঝতে পারি কিছু একটা হয়েছে। আর লাম্বা পড়ে গিয়েছিল।’
ওপেনার লাম্বার ১৯৮৬ সালে ভারত দলে অভিষেক হয়। জাতীয় দলের হয়ে ৪টি টেস্ট ও ৩২টি ওয়ানডে খেলেছেন তিনি। টেস্টে ১০২ ও ওয়ানডেতে ৭৮৩ রান করেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে দিল্লির হয়ে খেলতেন, ঘরোয়ায় খেলেছেন আয়ারল্যান্ডের হয়েও। ১২১টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ৮ হাজার ৭৭৬ রান তার।