স্পোর্টস ডেস্ক : ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের (ডিপিএল) ইতিহাসে প্রথমবার কোনো দল হিসেবে চারশ রানের দেখা পেলো প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। দলকে রেকর্ড সংগ্রহ এনে দেয়ার পথে একাই ১৭৬ রানের ইনিংস খেললেন নাঈম শেখ।
মিরপুরে রোববার (৯ মার্চ) নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে ৪২২ রান করেছে প্রাইম ব্যাংক। লিস্ট ‘এ’তে নাঈমের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস ছাড়াও ৭৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছেন মোহাম্মদ সাব্বির হোসেন। এছাড়া ৫০ রানে অপরাজিত ছিলেন সাজ্জাদুল হক রিপন। ব্রাদার্সের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিতে ৭৭ রান খরচ করেছেন আল আমিন হোসেন।
ডিপিএলের ইতিহাসে এতদিন সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ডটি দখলে ছিল আবাহনী লিমিটেডের। ২০১৮ সালে প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৯৩ রান করেছিল তারা। তাদের সে রেকর্ড ২০২২ সালের পর ২০২৪ মৌসুমেও ভাঙার কাছাকাছি গিয়েছিল প্রাইম। কিন্তু পারেনি। ২০২২ সালে ৩৮৮ আর গত বছর ৩৮০ রানে থামে তারা। তবে এবার আর ব্যর্থ হয়নি।
শুধু আবাহনীর রেকর্ডটি-ই ভাঙেনি তারা, গড়েছে লিগটিতে প্রথমবার চারশ সংগ্রহের ইতিহাসও। দলকে রেকর্ড সংগ্রহ এনে দেয়ার বড় কারিগর নাঈম শেখ। ওপেনিং জুটিতে তার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন সাব্বিরও। টি-টোয়েন্টি ধাচে ব্যাট করে ১৮ ওভারের মধ্যে তারা দলকে এনে দেন ১৪০ রান। ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বল সোহাগ গাজীর শিকার হন সাব্বির। ৬৩ বলে ৯ চার ও ৪ ছক্কায় থামে তার ৭৩ রানের ইনিংস। তবে সেঞ্চুরির সুযোগ হাতছাড়া করেননি নাঈম।
শুধু সেঞ্চুরি-ই নয়, তিনি লিস্ট ‘এ’তে তার আগের ব্যাক্তিগত ১৩৬ রানের সংগ্রহও ছাড়িয়ে দেড়শ করেন। তার সামনে সুযোগ এসেছিল ডিপিএলের দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরিও করার। এখন পর্যন্ত রেকর্ডটি আছে কেবল সৌম্য সরকারের নামে। কিন্তু সালাউদ্দিন শাকিলের বলে এক্সট্রা কাভারে ক্যাচ দিয়ে সে সুযোগ নষ্ট করেন নাঈম। তাতে ১২৫ বলে ১৮ চার ও ৮ ছক্কায় ১৭৬ রানে থামতে হয় তাকে। দলের সংগ্রহ ততক্ষণে অবশ্য ৩৮.৩ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩১০ রান।
শেষদিকে আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সাজ্জাদুলের নৈপুণ্যে চারশ ছাড়ানো সংগ্রহ পায় প্রাইম ব্যাংক। ২২ বলে ৩ ছক্কা ও ৩ চারে ৪০ রান করে মামুন আউট হলেও ফিফটি তুলে নেন সাজ্জাদুল। ৩৭ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। এছাড়া শেষদিকে নেমে ৮ বলে ৪ চারের মারে ১৭ রান করেন রিশাদ হোসেন।
ব্রাদার্সের পক্ষে সব বোলারই বেশ খরুচে ছিলেন। ১০ ওভার বল করে সবচেয়ে বেশি ৮১ রান দিয়েছেন সোহাগ গাজী। নিয়েছেন মাত্র ১ উইকেট। শুধু ৫ ওভার বল করে ৬৬ রান খরচ করেছেন নুর মোহাম্মদ। ৯ ওভার বল করে ৭৫ রান খরচ দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন শাকিল। দলের সফল বোলার আল আমিন ৩ উইকেট নিলেও খরচ করেছেন ৭৭ রান।