স্পোর্টস ডেস্ক : গত জুনে ২০২৪ টি-২০ বিশ্বকাপ জিতেই এই ফরম্যাটকে বিদায় জানান রোহিত-কোহলি। অথচ টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার আগে, এমনকি ফাইনালে মাঠে নামার আগেও তাদের অবসর নিয়ে তেমন কোনো আলোচনা ছিল না। দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে আচমকাই সরে দাঁড়ান। হয়তো অনুভূতিটা এমন ছিল যে, অবসরের জন্য এত ভালো মুহূর্ত আর পাবেন কি না!
শুধু রোহিত-কোহলি কেন, ওই বিশ্বকাপ জিতে ৩৬ বছর বয়সি রবীন্দ্র জাদেজাও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিকে বিদায় জানান। তিনজনই অন্য দুই ফরম্যাটে খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন। আজ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তারা খেলতে নামবেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে।
টি-২০ থেকে অবসর ও আজকের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল মেলালে মনে প্রশ্নটা জাগতেই পারে, ভারত আজ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতে গেলে রোহিত-কোহলি কি ওয়ানডে ফরম্যাটকে বিদায় বলে দেবেন? তেমন হওয়া অসম্ভব কিছু নয়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে অবসরের গুঞ্জন না থাকলেও খারাপ ফর্মের কারণে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু হওয়ার আগে তা ছিল, এখনও আছেই বলা যায়।
তাছাড়া রোহিত-কোহলির বয়সও ওয়ানডেতে তাদের শেষই দেখাচ্ছে, কোহলি ৩৬ পূর্ণ করলেও রোহিত ৩৮-এর দ্বারপ্রান্তে। তরুণদের তো সুযোগ দিতে হবে, নাকি? ভারতের পাইপলাইনে প্রতিভাবান ক্রিকেটারের অভাব নেই। যশস্বী জয়সওয়াল, ইশান কিশান, সাঞ্জু স্যামসনের মতো ক্রিকেটারদের ছাড়াই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলছে টিম ইন্ডিয়া। কোহলি-রোহিত অবসরে গেলে তাদেরই সেই স্থানটা পূরণ করার কথা। বিদায় নিতে পারেন ২০৩টি ওয়ানডে খেলা জাদেজাও।
কোহলি নিয়ে অত কথা না হলেও রোহিত অবসর নেবেন কি না, এই আলোচনা বেশ জোরেশোরে হয়েছে। প্রসঙ্গটা উঠেছিল গতকাল শুভমান গিলের সংবাদ সম্মেলনেও। গিল সম্ভাবনাটা উড়িয়ে দেননি, আবার এ নিয়ে আলোচনা হয়নি বলেও জানালেন, ‘এখন পর্যন্ত তো আমাদের সব আলোচনা ম্যাচ জয় এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে হয়েছে। এ রকম (অবসর) কিছু বা এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে দলের সঙ্গে বা আমাদের সঙ্গে কোনো কথা হয়নি। আমার মনে হয় না রোহিত ভাইও এটা নিয়ে এখন খুব একটা ভাবছেন। আমাদের কালকের ম্যাচ শেষ হলে হয়তো তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন। দলের মধ্যে এটা নিয়ে কোনো আলোচনা নেই।’