ভিডিও ছেড়ে দেবার ভয় দেখিয়ে টানা আট মাস স্ত্রীর পাহারায় এক কিশোরীকে ধর্ষণ করেছে ময়মনসিংহ জেলা জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সভাপতি হোসেন আলী (৫০)। এমন অভিযোগে রবিবার রাতে নগরীর কৃষ্টপুর এলাকা থেকে ওই নেতাকে আটক করেছে র্যাব-১৪। এর আগে র্যাবের কাছে লিখিত অভিযোগ করে নির্যাতিত কিশোরীর পিতা।
ভুক্তভোগীর পিতা বাদী হয়ে রবিবার গভীর রাতে হোসেন আলী ও তার তৃতীয় স্ত্রী তামান্না বেগমকে (১৯) আসামি করে ধর্ষণ মামলা করেন। কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গতকাল দুপুরেই অভিযুক্ত হোসেন আলীকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে ওসি জানান, নগরীর কৃষ্টপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকার সুবাদে প্রতিবেশী হোসেন আলীর বাসায় যাতায়াত ছিল ভুক্তভোগী পরিবারের। সেই সুযোগে ওই কিশোরীর সঙ্গে কথা হতো জাপা নেতার। চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি সকালে হোসেন আলীর তৃতীয় স্ত্রী তামান্না বেগম ওই কিশোরীকে ঘরে ডেকে নিয়ে কোমল পানীয়ের সঙ্গে নেশা জাতীয় ওষুধ সেবন করিয়ে অচেতন করে। পরে কিশোরী অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে ধর্ষণ করে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে হোসেন আলী।
এ ঘটনা প্রকাশ করলে ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে কিশোরীকে তার সঙ্গে নিয়মিত শারীরিক সম্পর্ক করতে বলে ধর্ষক। পরের দিন সকালে আবারও তামান্না বেগম ওই কিশোরীকে ডেকে এনে তার স্বামী হোসেন আলীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়ে বাইরে বসে পাহারা দেয়।
ওসি আরও জানান, সাম্প্রতিক সময়ে ওই কিশোরীকে ধর্ষণকালে হোসেন আলী জনতার হাতে আটক হয়েছিলেন। সেই সময় তিনি স্থানীয় সালিসে বিষয়টি মীমাংসা করে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি ওই কিশোরীর পিছু ছাড়েননি।