ময়মনসিংহের নান্দাইলের পল্লীতে তিনদিন আগে খুন হওয়া গৃহবধূর পলাতক স্বামীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। এ সময় তার কাছে রক্ত মাখা একটি দা' উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই দা দিয়েই তিনি তার স্ত্রীকে হত্যা করেছেন।
মঙ্গলবার (২১ সেপ্টাম্বর) বিকেলে উপজেলার গাঙাইল ইউনিয়নের শ্রীরামপুর এলাকার হাওর থেকে তাকে আটক করা হয়।
জানা যায়, শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় হাওরের পাশে একটি শিশুকে কান্না করতে শুনে এগিয়ে যায় পথচারীরা। এ সময় সেখান থেকে এক নারীর লা'শ উদ্ধার করে স্থানীয়রা। পরে জানা যায়, মৃ'ত দেহের পাশে বসে কান্না করা শিশুটির নাম ফাতেমা। আর লাশটি তার মায়ের।
খবর পেয়ে পুলিশ লা'শ উদ্ধার করে। জানা যায়, মৃ'ত দেহটি পাশের বাড়ির সাদ্দামের স্ত্রী ইয়াসমিনের। ঘটনার পর থেকেই লাপাত্তা সাদ্দাম। মঙ্গলবার দুপুরের পর দেখা যায় দা হাতে সাদ্দাম চিৎকার করে অসংলগ্ন কথা বলছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুই ঘণ্টা চেষ্টা করে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে আটক করে।
পুলিশ জানায়, নান্দাইল উপজেলার গাংগাইল ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের সাদ্দাম হোসেন (৪০) প্রায় ১০ বছর আগে বিয়ে করেন পাশের কেন্দুয়া উপজেলার পাইকুড়া ইউনিয়নের সোহাগপুর গ্রামের মো. সিরাজের মেয়ে ইয়াসমিন আক্তারকে (৩২)। ওই দম্পতির দুটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে দুজনের মধ্যে কলহ চলছিল। এ নিয়ে মামলাও চলছিল।
ঘটনার দুদিন আগে দুই পরিবার সমঝোতার মাধ্যমে ইয়াসিমন স্বামীর বাড়িতে ফেরত আসেন। শনিবার ফের তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। পরে শিশু ফাতেমাকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। সন্ধ্যার পর শিশু সন্তান ফাতেমাকে (৩) কোলে নিয়ে বাবার বাড়িতে রওনা হন ইয়াসমিন। পথেই তাকে হ'ত্যা করেন স্বামী সাদ্দাম হোসেন।
থানায় থাকা সাদ্দাম বলেন, 'কি করবাম, পলাইয়া আর কই যাইয়াম। পাশে ঝোপের মধ্যে লুকাইয়া ছিলাম।'
নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান আকন্দ বলেন, হ'ত্যার পর থেকেই অভিযুক্ত সাদ্দাম মানসিকভাবে কিছুটা বিপ'র্যস্থ হয়ে লোকচক্ষুর আ'ড়ালে চলে যান। এ ঘটনার বিষয়ে তাকে আরো জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সূত্র: কালের কণ্ঠ