‘জহিরুলরে ক্ষমা করিও না। বাবা আমার বেঁচে থাকার অনেক স্বপ্ন ছিল। কিন্তু ও আমাকে বেঁচে থাকতে দিল না’। পরিবারের উদ্দেশে এমন চিরকূট লিখে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে মীম আক্তার (১৪) নামের এক স্কুলছাত্রী।
এ ঘটনায় শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) নিহত মীম আক্তারের বাবা সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে তেলুয়ারী গ্রামের মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে জহিরুল মিয়ার (১৯) নামে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এর আগে ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আঠারবাড়ী ইউনিয়নের তেলুয়ারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত মীম আক্তার ওই গ্রামের সাইফুল ইসলামের মেয়ে। তিনি স্থানীয় আঠারবাড়ী এমসি উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
থানার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২২ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার সময় পরিবারের অগোচরে বিষপান করে টয়লেটের পাশে পড়ে ছিল মীম। পরে মীম আক্তারের মা নেহেরা আক্তার তাকে দেখতে পান। মীমের বাবা সাইফুল ইসলামকে খবর দিলে তাৎক্ষণিক তাকে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। মীমের অবস্থার অবনতি হলে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে মারা যান। গত শুক্রবার (২৫ সেপ্টম্বর) মমেক হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে তেলুয়ারী গ্রামের নিজ বাড়িতে মীমকে দাফন করা হয়।
মীমের বাবা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘পরিবার ও আশপাশের লোকজনের মাধ্যমে জানতে পারি, জহিরুল ও মীমের মধ্যে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রেমের সম্পর্কের অবনতির কারণে আমার মেয়ে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। যা চিরকূটে লিখে গেছে’।
এ ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত জহিরুল মিয়া পলাতক রয়েছে। এ ছাড়া তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের মিয়া বলেন, এই অভিযোগের ভিত্তিতে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।