ভাড়া বাসায় স্বামী ও চার বছরের শিশু সন্তান নিয়ে ঘু'মিয়ে ছিলেন গৃহপরিচারিকা (৩৫)। গভীর রাতে কাজ আছে বলে দরজা খুলতেই বাসার মালিকের ছেলে পাঁচজনকে নিয়ে ঘরে প্রবেশ করলে অ'স্ত্রের মুখে স্বামী দৌ'ড়ে পা'লিয়ে গেলে আগতরা শিশুর গলায় ছু'রি ধরে পা'লাক্র'মে ধ'র্ষণ করে গৃহপরিচারিকা মাকে।
এ ধ'রনের ঘ'টনা ঘটে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার দত্তপাড়া এলাকায়। এ ঘটনায় মামলার পর পুলিশ আজ বুধবার সকালে ওই নারীকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
স্থানীয় সূত্র ও মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, গণধ'র্ষণের শি'কার নারীর বাড়ি ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার একটি গ্রামে। গৃহপরিচারিকা হিসাবে শহরের বিভিন্ন বাসায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। এই সুবাদে সিএনজিচালক স্বামীকে নিয়ে শহরের টিএন্ডটি রোডের দত্তপাড়া ভাড়া বাসায় বসবাস করছে গত দুই মাস ধরে।
ওই নারী জানান, গত রবিবার রাত দেড়টার দিকে বাসার মালিক একাদুলের ছেলে মো. জুবায়েদ হোসেন আকাশ (১৯) দরজায় এসে টুকা দে। জানতে চাইলে কাজ আছে বলে দরজা খুলতে বলে। এ সময় পাঁজনের একটি দল ঘরে প্রবেশ করে ঘুমিয়ে থাকা স্বামীকে অ'স্ত্রের ভ'য় দেখালে তিনি দৌ'ড়ে পালিয়ে যায়। এ অবস্থায় জুবায়েদ তাঁকে টেনে হিঁ'চড়ে নিজের ঘরের একটি কক্ষে নিয়ে যায়। এক প'র্যায়ে বাধা দিলে নিজের শিশু সন্তানের গলায় ছু'রি ধ'রেছে ভ'য় দেখিয়ে পালাক্র'মে ধ'র্ষণ করে সকলেই চলে যায়। পরদিন এ ঘ'টনায় বিচার চাইলেও কেউ কোনো ধরনের কর্ণপাত করেননি। বাধ্য হয়ে তিনি মঙ্গলবার স্বামীর চিহ্নিত মতে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় পাঁচজনকে অভিযু'ক্ত করে করে অভি'যোগ দায়ের করলে পুলিশ রাতে মামলা এফআইআর ভুক্ত করে অভিযুক্ত জুবায়েদকে গ্রেপ্তার করে।
অন্য আসামিরা হলেন, এলাকার ফজলুল হকের ছেলে আপন মিয়া (১৯), মৃত শাইজ উদ্দিন মন্ডলের ছেলে জামাল মিয়া (৩২) আকবর আলীর ছেলে বাবু ওরফে হাড্ডি বাবু (৩৩) ও সোহেল মিয়া (৩০)।