এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : তার রয়েছে স্বামী ও সন্তান। গার্মেন্টসে চাকরি করা অবস্থায় গত প্রায় চার বছর ধরে সম্পর্কে জড়ান সহকর্মীর সঙ্গে। বিয়ে করবেন এ কথায় স্বামী-সন্তান ছেড়ে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিলে লাপাত্তা হয়ে গেছে প্রেমিক।
এ অবস্থায় বাড়ি ছাড়তে পরিবারের সদস্যরা নির্যাতন চালালে ওই নারী আত্মহত্যার হুমকি দেন। ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার জাটিয়া ইউনিয়নের সাগুলি গ্রামে।
খবর পেয়ে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই গ্রামের অবু বক্করের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বিয়ের দাবিতে প্রেমিক ফারুকের বসতঘরের বিছানায় গত মঙ্গলবার থেকে বসে রয়েছেন ওই নারী।
জানতে চাইলে তিনি জানান, তার বিয়ে হয়েছে প্রায় ছয় বছর আগে। দুই বছর বয়সের তার একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
তিনি ভালুকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। তার বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ী উপজেলার একটি গ্রামে। এক সাথে চাকরির সুবাদে তার সর্ম্পক গড়ে ওঠে ফারুকের সঙ্গে। এভাবেই চলে গত প্রায় চার বছর ধরে। এর মধ্যে বিয়ের কথা বললে আজ না কাল বলে সময় ক্ষেপণ করতে থাকেন ফারুক।
তিনি জানান, ফারুক এক পর্যায়ে বলেন, স্বামী ও সন্তান ছাড়তে পারলে তবেই বিয়ে করবেন। ফারুকের এই কথায় গত দুই মাস আগে স্বামীকে তালাক দেন তিনি। এ অবস্থায় কর্মস্থলের কাছে ভাড়া বাসায় দুইজনে বসবাসও করেন। ওই নারী আরো জানান, গত ১২ দিন ধরে ফারুকের কোনো খোঁজ-খবর না পেয়ে তিনি তার বাড়িতে চলে এসেছেন।
এসে দেখেন এখানেও ফারুক নেই। তবে প্রতিবেশীদের কাছে তিনি জানতে পেরেছেন ফারুক এতদিন বাড়িতেই ছিলেন। তার আসার খবর পেয়েই তিনি লাপাত্তা হয়ে যান। গত দুই দিনেও তার হদিস নেই। তিনি বলেন, ‘আমার তো সব শেষ। এখন আর রইল কি? এই অবস্থায় একমাত্র মরণ। আমি তাই করব।’
ফারুকের মা সেরিনা আক্তার বলেন, ‘আমরা তারে কিছু কই না। এমনিতেই সে কিছু খায় না। খালি আমার ছেড়ারে খোঁজে। আমি ছেড়ারের কইত্তে আইনা দিয়াম? তাছাড়া হে তো বিবাহিত ও একটা সন্তান আছে। আমার ছেড়া তো বিয়া করছে না। এই খারাপ ছেড়িরে বিয়া করাইতাম না।’
জানতে চাইলে জাটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামছুল হক ঝন্টু বলেন, ‘ওই নারী গত একদিন আগে আমার কাছে এসেছিলেন। পরে প্রমাণাদি দেখে ফারুকের পরিবারকে এক ফয়সালার কথা বলি। কিন্তু তারা কোনো কর্ণপাত না করায় নারীকে থানায় যেতে পরামর্শ দেই।’
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মাজেদুর রহমান বলেন, ‘ওই নারী অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’