নেত্রকোনা : চারদিনের প্রেম, প্রেমিককে চারদিন ধরে আটকিয়ে প্রেমিকার বিয়ে। ঘটনাটি ঘটেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে। প্রেমিকার ডাকে নদী পার হয়ে সাড়া দিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা খেলেন মনির আহমদ (১৮)।
গত চারদিন প্রেমিকার বাড়িতে আটক থাকার পর প্রেমিকাকে বিয়ে করতে বাধ্য হন প্রেমিক মনির। প্রেমিক মনির আহম্মদ পাশের সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলা সদরের উকিলপাড়া গ্রামের আজমান আলীর ছেলে।
এলাকাবাসী ও মনিরের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মোহনগঞ্জ উপজেলার বড়তলী-বানিয়াহারী ইউনিয়নের কলুংকা গ্রামের এখলাছ মিয়ার মেয়ের (১৭) সাথে গত তিন-চার ধরে মনিরের পরিচয় ও ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রেমিকা তার মোবাইল ফোনে প্রেমিককে দেখা করতে বলে।
মনির ওইদিন রাত ৮টার দিকে কংশ নদী পার হয়ে ভালোবাসার টানে প্রেমিকার সাথে দেখা করতে যায়। প্রেমিকার বাড়ির সামনে যাওয়া মাত্রই আগে থেকে ওঁৎপেতে থাকা প্রেমিকার পরিবারের লোকজন তাকে আটকিয়ে মারধর করে বিয়ে করার জন্য চারদিন আটকে রাখে।
বিয়ে করতে তার ওপর শারীরিক ও মানসিক চাপ দিতে থাকে। পরে মনিরের পরিবারের লোকজনের সম্মতিতে শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রেমিকার বাড়িতে কাজী এনে বিয়ে পড়িয়ে দেয়া হয়।
মনিরের বাবা আজমান আলী স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, আমার ছেলেকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে চারদিন আটকিয়ে রাখে। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের পরামর্শে শনিবার বিয়ে পড়ানো হয়।
বড়তলী-বানিয়াহারী ইউপি চেয়ারম্যান মো. হাসিম উদ্দিন প্রেমিক মনিরকে আটক করার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দুই পক্ষকেই আমি পরামর্শ দিয়েছি, জন্ম নিবন্ধন অনুযায়ী বিয়ের বয়স হয়ে থাকলে তাদের বিয়ে পড়িয়ে দেয়ার জন্য।
এ ব্যাপারে মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এ ধরনের একটি অভিযোগ মোবাইল ফোনে জানিয়েছে। কিন্তু থানায় কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি।
৭ ফেব্রুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম