সোমবার, ১৮ জুলাই, ২০১৬, ০৭:৫৮:৪৮

আতঙ্কের মধ্যে হূমায়ুন আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকী

আতঙ্কের মধ্যে হূমায়ুন আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকী

নেত্রকোনা : আতঙ্কের মধ্যে নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী।  আগামীকাল মঙ্গলবার জেলার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে হূমায়ুন আহমেদের হাতেগড়া শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠে স্বল্প পরিসরে মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হবে।
 
অচেনা মানুষের আনাগোনা এবং হূমায়ুন আহমেদ সম্পর্কে বিদ্যালয় ও আশপাশের লোকজনের কাছ থেকে তাদের খোঁজ-খবর নেয়ায় বিদ্যাপীঠের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে বেশ ক’দিন ধরেই আতঙ্ক বিরাজ করছে।

অনুষ্ঠান পালনে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থানা পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছেন।  সে অনুযায়ী দুদিনের অনুষ্ঠান কমিয়ে একদিন করা হয়েছে।

শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান কেন্দুয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, হূমায়ুন আহমেদের মৃত্যুর পর থেকে প্রতিবছর ঘটা করে উৎসবমুখর পরিবেশে কুতুবপুর গ্রামে মৃত্যুবার্ষিকী ও জন্মবার্ষিকী পালন করা হতো।  মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠান দুদিনব্যাপী পালন করা হতো।  কিন্তু অচেনা মানুষের আনাগোনার কারণে এবার একদিন পালন করা হবে।

অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে কালোব্যাজ ধারণ, কোরআন তেলাওয়াত, বিদ্যাপীঠ প্রাঙ্গণে শোক র‌্যালি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল।  

মঙ্গলবার সকালে পুলিশ আসার পর অনুষ্ঠান শুরু হবে।  অনুষ্ঠান থেকে বাদ দেয়া হয়েছে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা, রাতে হূমায়ুন আহমেদ নির্মিত চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ও বিদ্যাপীঠে লাইব্রেরিতে হুমায়ূন আহমেদের লেখা বই পড়া।

জানা গেছে, গত ১০ জুলাই সন্ধ্যায় অপরিচিত দুই ব্যক্তি স্কুলে আসে।  তারা স্কুলসংলগ্ন দোকানে গিয়ে হূমায়ুন আহমেদ সম্পর্কে জানতে চায়।  

তার ধর্মীয় অনুভূতি কেমন ছিল, হূমায়ুন আহমেদ নামাজ পড়তেন কি-না, নামাজ পড়ে থাকলে আপনি দেখেছেন কি-না, গ্রামের মসজিদে কোনো অনুদান দিয়েছেন কি-না- এ ধরনের নানা প্রশ্ন করে তারা প্রধান শিক্ষকের খোঁজ করেন।

তাদের চেহারা ও পোশাক দেখে এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।  পরে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে সবার মাঝে আতঙ্ক দেখা দেয়।  

প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান বলেন, ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা চলার কারণে শিক্ষার্থীদের বিষয়টি জানানো হয়নি। এ নিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে বেশ আতঙ্ক বিরাজ করছে।

তাই অনুষ্ঠান ছোট পরিসরে করা হচ্ছে।  বাড়তি নিরাপত্তা দেয়ার জন্য কেন্দুয়া থানায় আবেদন এবং জিডি করা হয়েছে।  

কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অভিরঞ্জন দেব জিডি করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি এলাকাবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।  
১৮ জুলাই, ২০১৬/এমটিনিউজ24/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে