সিলেট থেকে : সিলেটের তারাপুর চা বাগানের বন্দোবস্ত নিয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতির মামলায় সিলেটের ধনাঢ্য ব্যবসায়ী রাগীব আলী ও তার ছেলেকে চারটি ধারায় মোট ১৪ বছর কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম বৃহস্পতিবার এই রায় ঘোষণা করেন।
আদালত সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই মামলায় পাঁচটি ধারায় দুই আাসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল। এর মধ্যে ৪৬৬ ধারায় ৬ বছর, ৪৬৮ ধারায় ৬ বছর, ৪৭১ ধারায় ১ বছর এবং ৪২০ ধারায় ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের রায় হয়েছে। রায়ের সময় রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাই আদালতেই উপস্থিত ছিলেন।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর সিলেটের ধনাঢ্য এই ব্যক্তি ও তার ছেলে, মেয়ে ও মেয়ের জামাই ভারতে পালিয়ে চলে গেলেও গত বছর শেষ দিকে রাগীব আলীকে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হয়। রাগীব আলীর বিরুদ্ধে ২০০৫ সালের একটি হিন্দু দেবত্তোর সম্পত্তি বেদখলের অভিযোগ রয়েছে।
১৯১৫ সালে এক হিন্দু ব্যক্তি নিজের চা বাগান এলাকার প্রায় ৪২৩ একর জমি এক মন্দিরের জন্য দান করে দেন। সেই জমিটিই সই জালিয়াতি করে বেদখল করে নিয়েছিলেন রাগীব আলী আর তার ছেলে, এমনটাই অভিযোগ।
অভিযোগ আছে, চা-বাগান এলাকায় রাগীব আলী ৩৩৭টি প্লট বানিয়ে বিক্রি করেন। এবছরের মে মাসে রাগীব আলীর দখলে থাকা তারাপুর চা-বাগান ফিরিয়ে নেওয়ার অভিযান শুরু করে সিলেটের জেলা প্রশাসন।
সিলেটের তারাপুর চা-বাগানের দেবোত্তর সম্পত্তিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ ও ভূমি আত্মসাতের দুটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয় রাগীব আলীর বিরুদ্ধে।
গত বছর নভেম্বরের ২৪ তারিখে রাগীব আলীকে বাংলাদেশের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে ভারত। এর আগের মাসে রাগিব আলীর ছেলে আব্দুল হাইকে ভারত থেকে ফেরার সময়ে জকিগঞ্জ সীমান্ত চেক পোস্টে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পিতা-পুত্র দুজনকেই বাংলাদেশে গ্রেফতার করার পর মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।
২ ফেব্রুয়ারি,২০১৭/এমটিনিউজ২৪/এসএস