রবিবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০১৬, ১০:১৪:৩৬

'ঠাণ্ডাতে হামার হাত-পাওগিলা ককরা হই আইসোচে'

'ঠাণ্ডাতে হামার হাত-পাওগিলা ককরা হই আইসোচে'

মোহাম্মদ মানিক হোসেন, চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরে ঘন কুয়াশা আর কন কনে শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে গ্রামের বয়োবৃদ্ধ-বৃদ্ধা ও গরীব-দুঃস্থ ও বস্ত্রহারা মানুষেরা পরেছেন বিপাকে। শীত নিবারনের পর্যাপ্ত বস্ত্র তাদের নেই। তারা তাকিয়ে আছেন কে কখন তাদের জন্যে গরম কাপড় নিয়ে আসবে। খর-কুটা কাগজসহ বিভিন্নভাবে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারন করতে দেখা গেছে তাদেরকে। কয়েক দিন ধরেই অবিরাম শৈত্য প্রবাহের সাথে সাথে রাতে বৃষ্টির মত কুয়াশা পড়ছে।
কাহারোল উপজেলার কাজীপাড়া গ্রামের তাসর উদ্দীন নামের এক বয়োবৃদ্ধ কৃষক বলেন "ঠাণ্ডাতে হামার হাত-পাওগিলা ককরা হই আইসচে, কন্দরত কাম করিবার যাবা পারছিনা"
একই এলাকার জরিনা বেগম নামের এক বৃদ্ধ মহিলা বলেন- হামরা গরিব মানুষ, দিনে আনি দিনে খাই, জারের কাপর ক্যামনে কিনিম!

এদিকে তিব্র শীতের কারণে ফসলেরও ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে বলে জানালেন কৃষকরা।  ঘন কুয়াশার কারণে সবজিক্ষেতে ছত্রাক আক্রমণ করতেছে, এজন্যে ঘনঘন ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হচ্ছে, ফলে উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে যাচ্ছে। চাহিদামত দাম না পেলে লোকসান গুনতে হবে বলে ধারনা করছেন তারা। বীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম আজাদ জানান, এরকম শৈত্য প্রবাহ চললে বোরো চাষের জন্য সদ্য বপণকৃত বীজতলার ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে রোদ উঠলেই এ সমস্যা কেটে যাবে।
ঘন কুয়াশার কারনে রাতে যান বাহন চলাচল প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। ১ ঘন্টার রাস্তা যেতে লাগছে ২ ঘন্টার অধিক। রাতে চালক রাস্তার ৩ গজ দুরেও দেখতে পায়না। দুর্ঘটনার আশংকাই বেশী। এছাড়া সময় মত যানবাহন গুলো গন্তব্য স্থলে পৌছাতে পারছে না।
বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি কম লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শহরের দোকানপাট খোলা থাকলেও বেচাবিক্রি কম বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা তবে শীতের পোশাকের দোকানে বিশেষকরে ফুটপাতে ক্রেতাদের ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা আশিকুর রহমান জানান, দিনাজপুরে তাপমাত্রা ৮ ডিঃ সেঃ নেমে এসেছে। রবিবার সারা দিন ও সোমবার প্রায় অর্ধেকদিন কুয়াশায় ঢাকা ছিল সূর্য।
২৪ জানুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে