শুক্রবার, ০৭ মার্চ, ২০২৫, ১১:১১:৫৫

ফিফা থেকে যে সুখবরের চিঠি পেল বাফুফে

ফিফা থেকে যে সুখবরের চিঠি পেল বাফুফে

স্পোর্টস ডেস্ক : ফিফার ফান্ড থেকেই বাফুফের আয়ের সিংহভাগ আসে। কিন্তু ২০১৮ সাল থেকে ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত বিষয়ে ফিফার আর্থিক নিষেধাজ্ঞার খড়গের নিচে ছিল বাফুফে। অবশেষে পর্যবেক্ষণের পর ফিফা সেই অর্থ ছাড়করণের শিথিলতা প্রত্যাহার করেছে। শুক্রবার (৭ মার্চ) ফিফার কাছ থেকে এই সংক্রান্ত একটি চিঠি পেয়েছে বাফুফে।

চিঠি আসার পরপরই কার্যনির্বাহী কমিটির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ফিফা থেকে পাওয়া সুখবর দেয় ফেডারেশনের সচিবালয়। বাফুফের নতুন কমিটির জন্য এটা বেশ স্বস্তির খবর। এখন বাফুফে ফিফার অনুদান স্বাভাবিক কিস্তিতে পাবে। পাশাপাশি উন্নয়নমূলক আরও অনেক কর্মসূচিতে আবেদনের সুযোগ বাড়বে।

২০১৭ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বাফুফের ক্রয়সংক্রান্ত বিষয়ে অসঙ্গতি ধরা পড়ে ফিফার তদন্তে। ওই তদন্তের জেরে এবং আরও নানা কারণে ২০২৩ সালের এপ্রিলে বাফুফের সেসময়কার সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে নিষিদ্ধ করে ফিফা। গত বছর মে মাসে নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়ে তিন বছর করে সংস্থাটি।

আর্থিক লেনদেনে অসঙ্গতির কারণে সেসময় বাফুফের চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার আবু হোসেন ও ম্যানেজার (অপরারেশন্স) মিজানুর রহমানকে নিষিদ্ধ করেছিল ফিফা। আর সেসময়কার বাফুফের ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান ও সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাম মুর্শেদিকে করা হয় জরিমানা।

ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ফিফা ফান্ডের অডিটের জন্য ফিফার প্রতিনিধি দল এসেছিল। বাফুফের ধারণা ছিল মার্চের মাঝামাঝি সময়ে ফিফা থেকে একটি সংবাদ পাবে। প্রত্যাশিত সময়ের এক সপ্তাহ আগেই বাফুফে সেই খবর পেল। ঢাকায় আসা প্রতিনিধি দলের প্রতিবেদনের ওপরই মূলত ফান্ড ছাড়করণের শিথিলতা প্রত্যাহার করা হয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের ওপর থেকে।

ফেডারেশনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সাল থেকে বাফুফে ফিফার আর্থিক অস্বচ্ছতার তালিকায় ছিল। আর্থিক অনুদান অতিরিক্ত কিস্তিতে পেলেও সেটা ছিল ফেডারেশনের জন্য অসম্মানের। ফিফা আবু নাঈম সোহাগকে নিষিদ্ধ করার পর নতুন সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষারের অন্যতম লক্ষ্য ছিল বাফুফেকে ফিফার এই তালিকা থেকে বের করা। নতুন সভাপতি তাবিথ আউয়ালও ফিফা প্রতিনিধির সম্প্রতি ঢাকা সফরকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করেছেন।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে